২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিরসরাইয়ে ইয়াবা বহন না করায় সিএনজি চালকদের মারধর

মিরসরাইয়ে ইয়াবা বহন না করায় সিএনজি চালকদের মারধর - নয়া দিগন্ত

মিরসরাইয়ে ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করতে রাজী না হওয়ায় এক সিএনজি-অটোরিক্সা চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার জেরে বুধবার সকাল থেকে উপজেলার আঞ্চলিক সড়ক মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়কে গাড়ী চলাচল বন্ধ রেখেছে মিঠাছরা-বামনসুন্দর অটোরিক্সা চালক সমিতি। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো যাত্রী। ৭টি রুটে প্রায় ২৫০ অটোরিক্সা চালক প্রতিদিন যাত্রী পরিবহন করেন বলে জানা গেছে।

মিঠাছরা-বামনসুন্দর অটোরিক্সা চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদ বলেন, ইয়াবা বহনের জন্য স্থানীয় মাদকসেবী তোফাজ্জল হোসেন, হুমায়ুন, তানভীর, রাজীব, শরীফ গত সোমবার আমাদের লাইনের সদস্য মোশাররফ হোসেনের গাড়ী ভাড়া নিতে এসেছিলো। মোশাররফ তাদের ভাড়ায় না নেওয়ার বিষয় জানালে তারা মোশাররফকে মারধর করে। মিরসরাই থানা থেকে আমাদের ইতপূর্বে মদ, ইয়াবা সহ কোন মাদক বহন না করতে বলা হয়েছিলো। তাই চালকরা এখন কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ভাড়ায় নেয় না।

মোশাররফকে মারধরের বিষয়টি আমাদের সমিতিকে জানানোর পর সে মঙ্গলবার পুনরায় তার বাড়িতে গিয়ে তাকে ও তার গর্ভবতী স্ত্রীকে মারধর করে। মঙ্গলবার রাত ৮টায় কাটাছরা ইউনিয়নের বামনসুন্দর বাজারে আমাদের সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে অন্য চালকদেরও তারা মারধর করে। আমরা থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য গেলে এসময় তারা আমাদের অফিস ভাংচুর করে। অফিসের দেওয়ালে টাঙ্গানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও তারা ভাংচুর করে। অফিসের ক্যাশে থাকা ৯০ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা এঘটনার সাথে জড়িতদের সুষ্ঠ বিচার ও ক্ষতিপূরণ চাই। অন্যথায় আমরা মিঠাছরা-বামনসুন্দর সড়কে কোন গাড়ী চলাচল করতে দিবো না।

উপজেলার কাটাছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী হুমায়ুন বলেন, সিএনজি-অটোরিক্সা চালকের উপর হামলাকারীরা এলাকার চিহ্ণিত মাদক ব্যবসায়ী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় এমন অপকর্ম করে আসছে। হামলার সাথে জড়িত ও তাদের আশ্রয়দাতাদের গ্রেপ্তার করার জন্য তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, মিঠাছরা-বামনসুন্দর অটোরিক্সা লাইনটি মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানার দু’টি অংশে বিভক্ত। বামনসুন্দর বাজার অংশ জোরারগঞ্জ থানা আর মিঠাছরা বাজার অংশ মিরসরাই থানা পুলিশ দেখে। ঘটনাস্থল জোরারগঞ্জ থানায় অবস্থিত হলেও মিরসরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছে। আমরা তাদের সকল আইনী সহায়তা দেবো।

জোরারগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সিরাজুল ইসলাম বলেন, অটোরিক্সা চালকদের ভাংচুর করা অফিস আমি পরিদর্শন করেছি। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement