০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫
`


টালমাটাল শেয়ারবাজার : পুঁজির নিরাপত্তা পাচ্ছে না বিনিয়োগকারী

-

- ২ দিনে ডিএসই ১১৫ পয়েন্ট ও সিএসই ৩৩৮ পয়েন্ট হারিয়েছে
- আরো ৩ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা উধাও

দেশের টালমাটাল পুঁজিবাজারে কোনোভাবেই পতন রোধ করা যাচ্ছে না। কোনো উদ্যোগই কাজে আসছে না। বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির নিরাপত্তা পাচ্ছে না। সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমার সর্বোচ্চ ও সর্বনি¤œ সীমা) নতুন নিয়ম চালু করার পর গতকাল দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। লেনদেন শুরুর পরপরই বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ আতঙ্কে দিনের সর্বনি¤œ দামে বিপুল শেয়ার বিক্রির আদেশ দেন। ফলে লেনদেন শুরুর কয়েক মিনিট পরেই ক্রেতাসঙ্কটে পড়ে শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এ সঙ্কট পরিস্থিতি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। গত দুই দিনে সূচক থেকে বড় ধরনের পয়েন্ট চলে গেছে। ডিএসইর প্রধান সূচক ১১৫ পয়েন্ট এবং সিএসই প্রধান সূচক ৩৩৮ পয়েন্ট হারিয়েছে। তিন হাজার ১৬৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে।
বাজার নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক গবেষক রয়েল ক্যাপিটাল বলছে, বিএসইসির ঘোষণার পর বাজারে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। শেয়ার বিক্রির জন্য বিনিয়োগকারীরা মরিয়া হয়ে ওঠে। গতকাল বিক্রির চাপ ছিল ৮১ শতাংশ আর কেনার চাপ ছিল মাত্র ১৯ শতাংশ। এ, বি, এন এবং জেড শ্রেণীর শেয়ার ছিল বিক্রির চাপে। পতনের ফলে বাজার থেকে মূলধন চলে গেছে ০.৪৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসইএক্স সূচক নি¤œমুখী প্রবণতা অব্যাহত রেখেছে। সূচক ৬০ পয়েন্ট হারিয়েছে, যা ছিল বর্তমান বাজারের অস্থিরতার মধ্যেও প্রধানত সতর্ক বিনিয়োগকারীদের। বিক্রির চাপ দ্বারা চালিত নিয়ন্ত্রক নি¤œ সার্কিট সীমা কাটা এবং ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৩ শতাংশ নির্ধারণ করে। একইসাথে গত বুধবারের ট্রেডিংয়ের তুলনায় গতকাল বাজারের টার্নওভার ১৫ শতাংশ কমেছে। ১৯টি খাতের মধ্যে মাত্র চারটি খাত লাভবান এবং ১৫টি খাত লোকসানের দিকে ছিল। ফ্লোরে ছয়টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এসএমই সূচক ডিএসএমইএক্স ১৭.৩ পয়েন্ট কমেছে।
লেনদেনের তথ্য থেকে বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, লেনদেনের শুরুতেই দরপতনের চাপ। প্রথম এক ঘণ্টায় লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৩৪৫টি কোম্পানির শেয়ারদাম কমেছে, বেড়েছে ১৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির। এর মধ্যে শতাধিক কোম্পানি শেয়ার ক্রেতাহীন অবস্থায় থাকতে দেখা যায়। তখন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকারও বেশি। দুপুর ১২টা ২৪ মিনিট পর্যন্ত ডিএসইর মূল সূচক ডিএসইএক্স ৭৫.১১ পয়েন্ট হারায়। ওই সময়ে ডিএসইতে ৩১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার লেনদেন হয়। একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টকের মূল সূচক সিএএসপিআই থেকে ১৬১.২৬ পয়েন্ট চলে যায়। ওই সময় চার কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার লেনদেন হয়।
দিনশেষে ডিএসইএক্স ৬০.৪৮ পয়েন্ট হারিয়ে পাঁচ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ১২.২৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ২১৭.২৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১০.১৭ পয়েন্ট হারিয়ে এখন এক হাজার ৯৭৪.৫০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত দুই দিনে দেড় শ’ পয়েন্ট চলে গেছে ডিএসইর সূচক থেকে। ডিএসইতে গতকাল টাকা ও শেয়ার দুটোর লেনদেনের পরিমাণ কমেছে। তেরো কোটি ৮৪ লাখ ২০ হাজার ৭২৩টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড হাতবদল হয়েছে মোট ৫১১ কোটি ৪৩ লাখ ৪১ হাজার ৯৯ টাকা বাজারমূল্যে। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৬০২ কোটি ৭৪ লাখ টাকার। ফলে লেনদেনে কমেছে ৯১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিলেও তাদের মধ্যে দর বেড়েছে ৬৯টির, কমেছে তিন শ’ টির বা ৭৫.৭৫ শতাংশের এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। আর ব্লক মার্কেটে গতকাল ৩৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নেয়। এদের ২৬ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড হাতবদল হয়েছে মোট ষোল কোটি ৬১ লাখ ২৬ হাজার টাকায়।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল সবগুলো সূচকই গড়ে শতাধিক পয়েন্ট হারিয়েছে। সিএসই-৩০ সূচক ২১৪.৬৯ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স এক শ’ দশমিক ২৭ পয়েন্ট এবং সিএএসপিআই ১৬৪.৬৩ পয়েন্ট হারিয়েছে। লেনদেনে অংশ নেয়া ২১৯টি কোম্পানির মধ্যে দর বৃদ্ধিতে ছিল ৩৩টি, দরপতনের শিকার ১৬১টি এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির। ৩৪ লাখ ৮২ হাজার ৫১০টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে মোট এগারো কোটি ১০ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪৯ টাকায়। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ২৬ কোটি ৭ লাখ টাকার। ফলে লেনদেন কমেছে ১৫ কোটি টাকা প্রায়।


আরো সংবাদ



premium cement
পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিলো মিয়ানমারের আরো ৮৮ বিজিপি সদস্য ব্যাটিং বিপর্যয়ে জিম্বাবুয়ে স্বামী কারাগারে, ঘরে আত্মহত্যা স্ত্রীর সুন্দরবনের আগুন পুরো নিয়ন্ত্রণে আসেনি, কারণ যেসব প্রতিকূলতা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. বিমল ছাজেড়ের সাওল হার্ট ও লাইফস্টাইল সেমিনার ৩১ মে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে : শামসুল ইসলাম তাসকিনের পর সাইফুদ্দীনের আঘাত ঈশ্বরদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকালে আটক ১২ ইসরাইলে আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করবে নেতানিয়াহু সরকার নতুন করে মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার জন্য আবেদনের সুযোগ নেই : মন্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বীর আনারস খেয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী

সকল