৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে টিকটক ভিডিও, মামলা না নেয়ায় আত্মহত্যার হুমকি

স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করে টিকটক ভিডিও, মামলা না নেয়ায় আত্মহত্যার হুমকি -

বরগুনার পাথরঘাটায় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) শ্লীলতাহানি করে ভিডিও তৈরি করে মোবাইল ফোনে ধারণ করে টিকটক ভিডিও তৈরি করে তারই সহপাঠী নাইম (১৫) নামের এক যুবক। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।

বিষয়টি নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর মা রুমা বেগম থানায় মামলা দিতে গেলে মামলা না নেয়ায় আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে ওই ছাত্রী ও তার মা রুমা বেগম।

বখাটে নাঈম উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজির খাল গ্রামের সৌদি প্রবাসী সগির খানের ছেলে ও আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। সগীর খানের স্ত্রী ছেলে নাঈমকে নিয়ে পৌর শহরে ভাড়া বাসায় থাকেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাঈম বখাটে এবং উশৃঙ্খল প্রকৃতির ছেলে। বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংসহ নানান অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে পাথরঘাটা কেএম মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই বহিষ্কারের পরে তিনি আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

ওই স্কুলছাত্রী জানান, একই স্কুলের সহপাঠী নাঈম দীর্ঘ দিন ধরে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে পথে ঘাটে উত্যক্ত করতেন তিনি। এরই জেরধরে গত বুধবার স্কুল ছুটির পর ক্লাস থেকে বের হওয়ার আগেই নাইম ওইছাত্রীর স্কুলব্যাগ নিয়ে বইরে বের হন। ওই ছাত্রী ব্যাগের জন্য নাইমের কাছে গেলে জড়িয়ে ধরে শ্লীলতাহানি করে।

এই দৃশ্য পাশ থেকে একই ক্লাসের সবুজ নামের অন্য এক ছাত্র গোপনে তা ভিডিও ধারণ করেন। যা পরবর্তীতে ফেসবুকে ছেড়ে দেন নাঈম। তিনি আরো জানান, বিষয়টি লজ্জায় কাউকে জানাইনি। কিন্তু গকতাল শুক্রবার আমার এক প্রতিবেশী ভিডিওটি আমাকে দেখালে বিষয়টি আমার মাকে জানাই।

স্কুলছাত্রীর মা রুমা বেগম জানান, নাঈম তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করে আসছে। এ নিয়ে এক বছর আগে নাঈমের মামা ইউসুফের কাছে বিচার দিলেও কোনো সমাধান পাইনি। এরপরে গত দুদিন আগে আমার মেয়েকে নিয়ে একটি আপত্তিকর ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই ভিডিওটি দেখার পর আমার মেয়েকে মারধরও করি। এরপর বিষয়টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানালে তিনি বিচার করবেন বলে আমাদের সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।

প্রধান শিক্ষক নাঈমের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে পাথরঘাটা থানার গিয়ে বিষয়টি ওসি আবুল বাশারকে জানাই এবং মামলা করার কথা বলি। কিন্তু ওসি দীর্ঘক্ষণ আমাদের বসিয়ে রেখে তার একটি ভিজিটিং কার্ড দিয়ে পরে আসতে বলে আমি ও মেয়েকে পাঠিয়ে দেয়া চেষ্টা করেন। তখন আমি তাকে মামলা না নিলে একটি জিডি নেয়ার কথা বললে তিনি বলে দেন, ওই ছেলেকে দেখলে তাকে যেন ফোন দেই, এই বলে পাঠিয়ে দেন।

আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুল জব্বার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্কুল ছুটির পরে স্কুল গেটের বাইরে এ ধরনের একটি অপ্রীতিকর ঘটনা কথা শুনেছি। এই বিষয়ে নাইমের পরিবারকে অবহিত করলে তারা নাইমকে হাজির করতে পারেনি। সে কারণে আমরা বিষয়টি নিয়ে সমাধানে যেতে পারিনি।

এ ব্যাপারে নাঈমের মায়ের মোবাইল ফোন যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আপনার কিছু জানার থাকলে সামনে এসে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন। কিছুক্ষণ পরে আবার ফোন দিয়ে বলে বিষয়টি পৌরমেয়র আনোয়ার হোসেন আকন ও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষন সমাধান করে দিবেন।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার সাংবাদিকদের জানান, রাতে স্কুলছাত্রী ও তার মা থানায় এসে বিষয়টি জানিয়ে গেছেন। তারা মামলা করার জন্য আসেননি বরং মৌখিক অভিযোগ করতে এসেছেন বলে জানিয়েছেন। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
ধরপাকড়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত ফিলিপাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি, বাড়তে পারে আরো শিখ নেতা পান্নুনকে খুন করতে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছিলেন ‘র অফিসার’ : ওয়াশিংটন পোস্ট দিল্লিকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে কেকেআর করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার বাইডেনকে পিছনে ফেলে দিলেন ট্রাম্প ইউরোপের ‘গাজা’ যুদ্ধ আসছে শয়তানবাদ! পার্বত্য চট্টগ্রামে কেএনএফের উত্থান ও করণীয় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতির কর্মীকে বেদম প্রহার সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের

সকল