জোয়ারের পানিতে ডুবল গ্রাম, বেকায়দায় হাজারো মানুষ

পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচার বিভিন্ন এলাকায় বেকায়দায় পড়েছেন হাজারো মানুষ। এতে চরমানিকা, বিছিন্ন দ্বীপ ঢালচর, কুকরি মুকরি, চরপাতিলা ও নজরুল নগরসহ পানিবন্দি রয়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্ভোগে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার মাছের ঘের, সবজি ক্ষেত ও ফসলি জমি।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মেঘনা নদী শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙ্গন রোধ এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও এইসব এলাকায় নদীর স্থায়ী ভাঙ্গনরোধ এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার ওপর মহলের কোনো ভূমিকা নেই বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। ফলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মেঘনা নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে।

চরফ্যাসন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরমানিকা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাজেদ মুন্সী জানান, মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে আমার পুকুর, লেবুর বাগান, পটল ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেতে থাকলে আগামী দু’একদিনের মধ্য নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে যাবে।

চরফ্যাসন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান জানান,পূর্ণিমার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে তেতুলিয়া নদীর ১০ সেন্টিমিটার এবং মেঘনা নদীর ৬৯ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।