২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বরিশালে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব

অভিযানে গাফলতির অভিযোগ
- ছবি : নয়া দিগন্ত

বরিশালের মুলাদী উপজেলায় চলছে মা ইলিশ শিকারের মহোৎসব। গত ১৪ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষার জন্য অভিযান শুরু হলেও প্রশাসন দায়সারাভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

মুলাদী উপজেলায় জয়ন্তী, নয়াভাংগুলী ও আড়িয়াল খাঁ নদীতে মীরগঞ্জ, মিয়ারচর, পাইতিখোলা, বানিমর্দন, নাজিরপুর, রামচর, সফিপুর, চরমালিয়া, মৃধার হাট এলাকায় রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ও বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শত শত জেলে মা ইলিশ নিধন করে চলছে। এই নদীগুলোতে বেশ কিছু খাল থাকায় প্রশাসনের লোকজন টহল দিতে গেলে জেলেরা খালের ভেতর লুকিয়ে পড়ে। অভিযানকারীদের ট্রলার চলে গেলে আবার নেমে পড়েন মাছ শিকারে।

মুলাদী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা ছয়টি ট্রলার, একটি স্পিড বোট ও নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দুইটি পুলিশ বোট নদীতে অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও অভিযান পরিচালনায় গাফলতি দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। নিয়ম ভেঙ্গে অনেক জেলে মাছ শিকার করলেও এ পর্যন্ত মাত্র ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তার মধ্যে নিয়মিত মামলায় ছয়জন, পাঁচজনকে সাজা ও দুইজনের জরিমানা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের জনবল খুব কম। তার মধ্যে আমি ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রী জ্বর নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছি। উপজেলার বিভিন্ন দফতর থেকে সাত থেকে আটজন কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনার জন্য দেয়া হয়েছে। তারা ডিউটি সময় ভাগ অভিযান পরিচালনা করে থাকেন।

স্থানীয় সচেতন মহলের ধারণা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা একটু সচেতন হয়ে কাজ করলে অনেকটা কমে আসবে মা ইলিশ শিকার। কিন্তু আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হওয়ায় চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ ভোট হারানোর ভয়ে তেমন সহযোগিতা করছে না বলে কর্মকর্তাদের অভিযোগ।

এলাকার জনসাধারণ বলছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে সকাল-সন্ধ্যায় অভিযান পরিচালনা না করলে মা ইলিশ রক্ষা করা যাবে না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভ্রা দাস জানান, নির্ধারিত অভিযান পরিচালনা করার টিম থাকার পরেও দুই থেকে এক দিন পর পর আমি নিজে ও সহকারী কমিশনার ভূমি আলাদাভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকি।


আরো সংবাদ



premium cement