২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বরগুনায় ফেসবুকে অশ্লীল পোস্ট, বিষপানে যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টা

বরগুনায় ফেসবুকে অশ্লীল পোস্ট, বিষপানে যুবতীর আত্মহত্যার চেষ্টা -

বরগুনায় ১৮ বছরের এক যুবতীকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর লেখা ও ছবি আপলোড করায় বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে যুবতী। ফেসবুকে পোস্টকারী ওই যুবকের নাম তাইমুন। একই গ্রামের মীর নজরুল ইসলাম খোকনের ছেলে সে।

মুমূর্ষু অবস্থায় ওই যুবতীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওয়াশ করে বিষ বের করে ফেলার পরে সে বিপদমুক্ত হয়েছে। ওই যুবতী বরগুনা সদর উপজেলার ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের ছোট গৌরীচন্না গ্রামের মহিলা মেম্বর লাইলীর মেয়ে।

যুবতীর মা অভিযোগ করেন, তাইমুন তার ফেসবুক আইডি দিয়ে ২৬ ও ২৮ আগস্ট আমার মেয়েকে নিয়ে ফেসবুকে ছবিসহ পোস্ট দেয়, সেখানে লেখা ছিল ‘এই মেয়েটি কাল রাতে পাঁচজন ছেলের সাথে এক রুমে ধরা পড়েছে।’

এ ছাড়াও জীবনযুদ্ধে হেরে গেছি নামে অপর একটি ফেক আইডি দিয়ে তাইমুন আমারে মেয়ের ছবিসহ পোস্ট দিয়ে লেখে, ‘৩ নম্বর ফুলঝুড়ি ইউনিয়নের মহিলা মেম্বর তার দুই মেয়েকে দিয়ে দেহব্যবসা করে তিনবার ধরা পড়েছে।’

তিনি আরো বলেন, তাইমুন আমার মেয়ে ও আমাদের ছবি দিয়ে পৃথক দুইটি আইডি দিয়ে অশ্লীল পোস্ট আপলোড করে আমাদের মানসম্মান নষ্ট করে দিয়েছে। আমি একজন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তার এমন অনাকাঙ্খিত কর্মকাণ্ডের কারণে আমি ও আমার মেয়েরা চরমভাবে অপমানিত হয়েছি।

আমি ৩০ আগস্ট বরগুনা থানায় একটি সাধারণ ডাইরী (জিডি) করি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমার মেঝ মেয়ে মনের কষ্টে ও লজ্জায় শুক্রবার সন্ধ্যায় কিটনাশক পান করে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয়। আমরা দেখতে পেয়ে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাক্তার ওয়াশ করে বিষমুক্ত করেন। এখনও আমার মেয়ে হাসপাতালে।

তিনি আরো বলেন, তাইমুনের মায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নির্বাচন করে আমি মেম্বর নির্বাচিত হয়েছি। সেই থেকে ওরা আমাদের ক্ষতি করে যাচ্ছে। আমি জিডি করার পর পুলিশ তাইমুনকে আটক করলে এমন ঘটনা ঘটতো না। পাঁচদিনেও পুলিশ জিডির তদন্ত কিংবা ঘটনাস্থলে যায়নি।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, একজন এএসআইকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সে কী করেছে খোঁজ নিয়ে জানাব।


আরো সংবাদ



premium cement