০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মুলাদীতে ঝুমুরের গন্ধরাজের ঘ্রাণে মুখরিত এলাকা

-

গন্ধরাজ বাংলাদেশে খুবই পরিচিত একটি ফুল। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কম বেশি এই ফুল দেখতে পাওয়া যায়। ফুলের রাজ্যে অনন্য এই গন্ধরাজ।
আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলেশিয়া ও ওশিয়ানিয়ার ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলের চিরহরিৎ পুষ্পল এই গাছটির প্রায় আড়াইশ' রকমের প্রজাতি আছে। গাছের দৈর্ঘ্য তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত হয়। ফুলটির বৈজ্ঞানিক নাম গার্ডেনিয়া জেসমিনোইডিস (Gardenia jasminoides)। অনেকে কেপ জেসমিনও বলে।
মুলাদী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মরহুম আঃ কাদের খানের মেয়ে ফাতেমা কানিজ কুমুর ২০১৪ সালে গন্ধরাজ ফুলগাছের একটি ডাল ভেঙে এনে বর্ষামৌসুমে ঘরের কানাচে লাগিয়ে ছিলেন। সেই থেকে আজ ১৪ বছর ধরে গাছটি ফুল দিয়ে যাচ্ছে। প্রতি মৌসুমে গন্ধরাজ ফুলের গন্ধে তাদের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা। প্রতিবেশীর অনেক মেয়ে তাদের বাড়িতে এসে গন্ধরাজের একটি ফুল ছিঁড়ে তার খোঁপায় গুঁজে নেয়।
ফাতেমা কানিজ ঝুমুর বলেন, গন্ধরাজ একটু আর্দ্র ও ছায়াযুক্ত পরিবেশে ভালো হয়। নিয়মিত পানি দিতে হয়। গাছের শাখা প্রশাখা ছাঁটাই করে দিলে গাছে অধিক ফুল ফোটে। ঝুমুর গন্ধরাজ ছাড়াও তার ঘরের পাশে পাতাবাহার, জবা ও নয়নতারা ফুলের গাছ লাগিয়েছে।
পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে তার বাগানে ফুলে ফুলে ভরা থাকে। কুমুর বলেন, গন্ধরাজ ফুল সকাল বেলা ফোটে এবং সন্ধ্যেবেলা নিমিয়ে যায়। বাংলাদেশে সাধারণত দুই ধরনের গন্ধরাজ দেখতে পাওয়া যায়। ধবধবে সাদা গন্ধরাজ আর হালকা হলুদ গন্ধরাজ। ফুল ফোটার সময় সাদা থাকলেও ক্রমেই হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে এই ফুল। ফুলের ব্যাস তিন-চার ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। পাতা বড় আকৃতির, দৈর্ঘ্যে তিন থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত। পাতার রঙ গাঢ় সবুজ ও উপরিতল তেলতেলে। উচ্চ আর্দ্রতা ও উজ্জ্বল আলোয় গাছ ভালো বাড়ে। ফুল ছিঁড়ে ঘরে রেখে দিলে দুই-তিন দিন পর্যন্ত সজীব থাকে এবং গন্ধ ছড়ায়। এই ফুলের গন্ধ মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ফুলের নির্যাস ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি-কাশি ও নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ফুলের নির্যাস ত্বককে উজ্জ্বল করে।


আরো সংবাদ



premium cement