০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বেড়া ও সাঁথিয়ায় হাজিরা মেশিনের নামে টাকা লুটপাটের অভিযোগ

-

পাবনার বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারি স্লিপ কর্মসূচির অনুদানে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হলেও তা কয়েক দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। একটি সিন্ডিকেট পাঁচ হাজার টাকার মেশিনের জন্য ১১-১২ হাজার টাকা বিল ধরিয়ে দিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বেড়া উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তিন নেতা এ সিন্ডিকেট পরিচালনা করে এ টাকা হাতিয়ে নেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
এ ব্যাপারে অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে স্লিপ কর্মসূচির সরকারি অনুদানের টাকায় বেড়া উপজেলায় ১০০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয়। বেড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তিন নেতা এমপির ভাতিজা আব্দুল কাদের সবুজের মালিকানাধীন মেসার্স সাদিকা এন্টারপ্রাইজ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এ মেশিন সরবরাহ করে। কোম্পানি সূত্রে জানা যায়, এ মেশিনটির খুচরা দাম ৫ থেকে ৬ হাজার ৫০০ টাকা। অথচ বেড়া উপজেলার ১০০টি স্কুলে তা ১২ হাজার টাকায় সরবরাহ করা হয়। যে মেশিনের বেড়া উপজেলায় ১২ হাজার টাকা দাম ধরা হয়, সে মেশিন সাঁথিয়ায় দাম ধরা হয় ১১ হাজার টাকা। শুধু তাই নয়, বেশির ভাগ স্কুলে এক থেকে দেড় হাজার টাকায় নষ্ট মেশিন সংগ্রহ করে তা সরবরাহ করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বেড়া হাতিপাড়া স্কুলে গিয়ে জানা যায়, এ স্কুলে বিকল ডিজিটাল হাজিরা মেশিন লাগানো হয়। বিকল মেশিনের কারণে বিদ্যুৎ সংযোগও দেয়া হয়নি।
সাঁথিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, সাঁথিয়ায় স্লিপ কর্মসূচির সরকারি অনুদানের টাকায় ১৫৩টি স্কুলে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হলেও তা বিকল হয়ে আছে। তবে তিনি পরে যোগদান করায় এ ব্যাপারে আর কিছু জানেন না।
নিয়ম অনুসারে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকদের স্লিপ কর্মসূচির সরকারি অনুদানের টাকায় শিক্ষা উপকরণ যাচাই-বাছাই করে কেনার নিয়ম থাকলেও তা করা হয়নি। অর্থাৎ তাদের কিনতে দেয়া হয়নি। শিক্ষক সমিতির তিন নেতা ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিম্নমানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন সরবরাহ করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এ কাজে তৎকালীন বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহায়তা করেন।
তৎকালীন বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেনের (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) সাথে মোবাইল ফোনে (০১৭১৬-২১২০৭৪) যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই সময় বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয়ে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি অবহিত ছিলেন না। এ বিষয়ে সব দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার এটিও এবং স্বস্ব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের।
এ ব্যাপারে বেড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল জানান, তারা দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিগ অব বাংলাদেশ লিমিটেডের সদস্য হিসেবে এ কর্মসূচি চালাচ্ছেন। এটা বৈধ কিনা সেটা মূল সংগঠন বলতে পারবে। তারা স্লিপ কর্মসূচির উপকরণ সরবরাহে দুর্নীতিসহ সব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে চারটি ঘাটতি রয়েছে : ড. দেবপ্রিয় বাল্টিক অঞ্চলের সুরক্ষা মজবুত করছে জার্মানি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে হামাস রাজি হওয়ায় অবাক হয়েছে ইসরাইল সোনারগাঁওয়ে হাত পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতি, আহত ৬ বিপদে জিম্বাবুয়ে, ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ আগামী সপ্তাহে পাকিস্তান সফর করতে পারেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কারো মা যেন না হারায় সে জন্য কাজ করবো : স্বাস্থ্যমন্ত্রী কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে : খাদ্যমন্ত্রী চেয়ারম্যান পদে রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা হাইকোর্টে বহাল প্যারিস জয় করে কি ফাইনালে যেতে পারবে ডর্টমুন্ড ভারতে তৃতীয় দফার ভোট : পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা, বোমা, মারধর

সকল