০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সোনাকান্ত বিলে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে বর্ণিল পদ্মফুল

সোনাকান্ত বিলে ফুটে থাকা পদ্মফুল : নয়া দিগন্ত -

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায় সোনাকান্ত বিলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন প্রকৃতিপ্রেমীরা। গত শুক্রবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের চার পাশে পদ্মফুলে ভরে গেছে। যতদূর চোখ যায় শুধু গোলাপি রঙের আভা। দিনের আলোর স্পর্শে এ রঙ যেন আরো ঝলমলে হয়ে ওঠে। পদ্মের এ সৌন্দর্য চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। তবে বিলে যাতায়াতে নৌকা এবং রাস্তা না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের।
স্থানীয়রা বলেন, তাদের কাছে এটি ‘সোনাকান্ত’ বিল নামেই পরিচিত। দুই বছর ধরে বর্ষাকালে এ বিলে গোলাপি রঙের অসংখ্য পদ্মফুল ফুটে আসছে। এমনিতে পদ্মফুল সারা বছর থাকে না। বর্ষাকালেই শুধু দেখা যায়। তবে দুই বছর ধরে প্রকৃতপ্রেমীদের কাছে এটি আমডাঙ্গার পদ্মবিল নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয় হাফিজুর রহমান বলেন, বিলে ফুটে থাকা পদ্মফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। বিলে নৌকার ব্যবস্থা এবং রাস্তা থাকলে দর্শনার্থীরা কাছে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারত। পাশাপাশি স্থানীয়রাও নৌকা চালিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারত। এখন লোকজন হেঁটেই বিলে গিয়ে ফুলের সৌন্দর্য দেখে ফিরে আসছে। পদ্মফুল ফোটার সময়ে বিল সংরক্ষণ করা গেলে দর্শনার্থীরা আরো আনন্দ পেত। কয়েক বছর আগে এই বিলে পদ্মফুল দেখার পর থেকে তিনি প্রতি বছর বর্ষার সময় এ বিলে আসার চেষ্টা করেন।
একই এলাকার আশিক ও হাবিব বলেন, স্থানীয়রা ফুল না ছেঁড়ার জন্য অনুরোধ করলেও দর্শনার্থীদের অনেকে যে যার মতো ফুল ছিঁড়ে নিয়ে যায়। বিষয়টি খুবই খারাপ লাগে। একটি সময় আমাদের দেশে অনেক পদ্ম দেখা যেত। কিন্তু বর্তমান সময় বিল-জলাশয় ভরাট করে ফেলায় পদ্ম বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। পদ্মফুলের অনেক ঔষধিগুণও রয়েছে।
এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় বিভিন্ন বিলে পদ্মফুলের দেখা মেলে। এই পদ্মফুলে ওষুধের গুণাগুণ রয়েছে। এখন কৃষিজমিতে কীটনাশক ব্যবহার কমে আসায় বিলে শাপলা, পদ্মফুলের দেখা মিলেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement