১৮ মে ২০২৪, ০৪ জৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫
`


উপজেলা নির্বাচন

মহেশখালীতে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা, এগিয়ে জয়নাল

-


কক্সবাজারের বিরল পাহাড়ী দ্বীপ মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে উঠেছে। প্রার্থী এবং তাদের কর্মীরা দিনরাত যাচ্ছেন ভোটারের দুয়ারে। ইভিএমে ভোট গ্রহণে প্রশাসনের প্রস্তুতিও চলছে বেশ জোরেশোরে। তবে ইভিএমে ভোট গ্রহণে প্রার্থীদের মনে বিরাজ করছে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ভয়।
নির্বাচনে দ্বিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই পরিষ্কার হচ্ছে প্রতিদিন এবং তা যে প্রার্থী হাবিব এবং জয়নালের মধ্যে হবে তা অনেকটা পরিষ্কার। কেউ কেউ হাবিব-জয়নাল-গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী তথা ত্রিমুখী লড়াইয়ের কথাও বলছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়নাল আবেদীন জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন। ব্যবসায়ের মাঠ থেকে আচমকা নির্বাচনের মাঠে এসে তিনি যুবকদের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করেছেন। উচ্চশিক্ষিত ও মার্জিত আচরণের অধিকারী জয়নাল মাঠে নেমেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। মানুষ যে তাকে গ্রহণ করেছে সেটি বোঝা যাচ্ছে প্রতিদিন তার প্রচারণায় হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে। অল্প সময়ে তিনি এখন সবখানে আলোচনার কেন্দ্রে।

৮ মে প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী শুরু হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এ দিন ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণের তালিকায় কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কার্যসূচিও রয়েছে। মহেশখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন- হাবিবউল্লাহ হাবিব (টুপি), গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী (মোটরসাইকেল), জয়নাল আবেদীন (দোয়াত কলম), মোহাম্মদ শরীফ বাদশা (আনারস) এবং আব্দুল্লাহ আল নিশান (চিংড়ি মাছ)। সূত্র মতে, শরীফ বাদশা সরে দাঁড়ায় এখন মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জয়নাল আবেদীন এবং হাবিবউল্লাহ হাবিব এর মধ্যে। তবে সরকারি দল সমর্থিত প্রার্থী গোলাম কুদ্দুস চৌধুরীও রয়েছেন আলোচনায়।
মূলত দলীয় প্রতীক নৌকা না থাকা এবং বিএনপি অংশ না নেয়ায় মহেশখালীতে প্রথমদিকে প্রচারণা ও নির্বাচনী আমেজ তেমন সৃষ্টি হয়নি। তবে এখন বেশ জমে উঠেছে। ভোটারদের অভিমত, মহেশখালীর একেবারেই উত্তর প্রান্তে মাতারবাড়ী, ধলঘাটা, কালামারছড়া, শাপলাপুর এবং হোয়ানকসহ মোট পাঁচটি ইউনিয়নের ভোট যে প্রার্থী বেশি টানতে পারবেন তিনিই বিজয়ী হবেন। কারণ অন্য চারজন প্রার্থীই দক্ষিণ মহেশখালী এলাকায়। এখন শরীফ বাদশা সরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকবেন জয়নাল আবেদীন।
সহকারি রিটার্নিং অফিসার বিমলেন্দু কিশোর পাল জানান, মহেশখালী পৌরসভা ছাড়াও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মোট ৮৬টি কেন্দ্রে এবার ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো নতুনভাবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভোটগ্রহণ শতভাগ সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়ে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরো সংবাদ



premium cement