২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সালথায় খাল ও বাঁওড় খননে ব্যাপক অনিয়ম

-

ফরিদপুরের সালথায় একটি খাল ও একটি সরকারি বাঁওড় পুনঃখননে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননের নামে যোগসাজশে পৃথক দুটি প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে খননকারীদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া হাজীবাড়ি থেকে সোনাপুর ইউনিয়নের চান্দাখোলা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৭৮৬ ঘন মিটার খাল পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং ১৬ হাজার ৪৪ ঘন মিটার কাগদী সরকারি বাঁওড়ের একাংশ পুনঃখননের জন্য ১৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় মৎস্য অধিদফতর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রকল্প দুটির খননকাজ শুরু করেন প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দিন খান পান্নু। খনন প্রকল্পের কাজ দুটি ৩১ মার্চের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি।
শনিবার সকালে সরেজমিন দেখা যায়, চান্দাখোলা বারোপিট খাল খননকাজ করা হচ্ছে মাত্র একটি ভেকু মেশিন দিয়ে। কাজের সাইডে প্রকল্প সভাপতি বা তদারকি কর্মকর্তারা কেউ নেই। খাল খননে তিন ফুট গভীর করার কথা থাকলেও এক থেকে দেড় ফুট গভীর করে খননকাজ করা হচ্ছে। আবার খালের অনেক স্থানে খননই করা হচ্ছে না।
খালের দুই পাড়ে বসবাসরতরা অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জানা মতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে খাল খনন করার কথা। অথচ ভেকু মেশিন দিয়ে খননকাজ করায় বঞ্চিত হচ্ছে শ্রমিকরা। তারা আরো বলেন, খালের দুই পাড়ে এমনভাবে মাটি রাখা হয়েছে যে বৃষ্টি নামলেই মাটি ধসে পড়ে পুনরায় খাল ভরে যাবে।
এ দিকে কাগদী বাঁওড়ে খননে গিয়ে দেখা যায়, মাত্র একটি ভেকু মেশিন দিয়ে বাঁওড়ের চারদিকে পাড় বাঁধা হচ্ছে। এখানে গভীর করে খননের কোনো চিত্র দেখা যায়নি।
একাধিক সূত্র জানায়, প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু তার প্রভাবশালী এক আত্মীয়ের মাধ্যমে মৎস্য অধিদফতর থেকে লবিং করে বিভিন্ন খাল ও বাঁওড় খননের প্রকল্প এনে লুটপাট করে আসলেও দেখার কেউ নেই। এখনো মৎস্য অধিদফতরের কয়েকটি খাল ও বাঁওড় খননের কাজ চলছে। সালথায়ও তার দুটি খনন প্রকল্পের কাজ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে চলছে। তাই খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে এভাবে অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প সভাপতি সালাউদ্দীন খান পান্নু কোনো বক্তব্য না দিয়ে এ নিয়ে লেখালেখি না করার অনুরোধ জানান।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাজিব রায় বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী কাজ না করলে বিল দেয়া হবে না। খাল ও বাঁওড় পুনঃখননে যতটুকু গভীর করে কাটা হবে ততটুকুর বিল দেয়া হবে। আর আগের প্রকল্পগুলোতে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে শ্রমিক দিয়ে কাজ করার কথা থাকলেও বর্তমান প্রকল্পে ভেকু মেশিন দিয়ে কাজ করার কথা রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, খাল ও বাঁওড় খননের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে অনিয়মের বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।


আরো সংবাদ



premium cement
কলকাতার রাস্তায় চাকরি হারানো শিক্ষকরা শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম

সকল