৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দেবীগঞ্জে ফুলে ফুলে ছেয়ে গেছে ঢেমশীর মাঠ

-

গোলাপী রঙের দৃষ্টিনন্দন ফুলে ছেয়ে গেছে ঢেমশি মাঠ। ঢেমশীর ইংরেজি নাম বাকহুয়িট। এ ফসলটি এক সময়ে এ অঞ্চলে বেশ চাষ হতো। কালের বিবর্তনে ঢেমশী হারিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এর নামও জানেনা নতুন প্রজন্ম। সভ্যতার ক্রমাগত পরিবর্তন ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টা মানুষকে পেছনে তাকানো থেকে করে রেখেছে বিমুখ। ঢেমশীর উপকারিতা সম্পর্কে কৃষিবিদদের গবেষণা শেষে বেরিয়ে এসেছে এর উপকারের নানা দিক। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আগে ঢেমশী বাণিজ্যিকভাবে চাষ হতো। এখন শখ করে অনেকে চাষ করে খাওয়ার জন্য। পঞ্চগড় জেলার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, সাধারণত ঢেমশী চাষে সারের প্রয়োজন হয় না। বীজ বপণের সময় থেকে ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে ঢেশশী কাটা যায়। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে এ জেলায় ঢেমশীর চাষ সম্প্রসারণ করা সম্ভব বলে কৃষি কর্মকর্তা জানান। 

জাপান ও বিশ্বের অন্য দেশে ঢেমশী রাজকীয় খাবার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। ঢেমশীর চাল জাপান ও সৌদি আরবে বাংলাদেশী টাকায় ৫১০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ঢেমশী বিশ্বে এক ব্যতিক্রমী খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঢেমশীতে রয়েছে নানা ধরনের উপকারিতা। হার্টের সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানাবিধ রোগ প্রতিরোধে ঢেমশী এক অনন্য ওষুধ। ভাত, রুটি, মাছ, গোশত শাকসবজি ও ফলের পুষ্টিকর উপাদান ঢেমশিতে রয়েছে। বিশ্বের প্রসিদ্ধ মধু উৎপাদিত হয় ঢেমশীর ফুল থেকে। ঢেমশীর চাষ হয় রোমানিয়া, জাপান, কোরিয়া, ফ্রান্স, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রে।

 


আরো সংবাদ



premium cement