২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ভাঙনে নিঃস্ব তিস্তা চরবাসী

-

থামছেই না তিস্তা নদীর ভাঙন। অব্যাহত নদী ভাঙনে সর্বহারা হয়ে পড়েছে চরবাসী। গত কয়েক মাসের অব্যাহত নদীভাঙনে সহস্রাধিক বসতবাড়িসহ হাজার হাজার একর জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদী ভাঙনের মুখে রয়েছে আরো হাজার হাজার বসতবাড়ি ও আবাদি জমি। স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা, হরিপুর, চণ্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার লাগামহীন ভাঙন চরবাসীকে দিশেহারা করে তুলেছে। নদী ভাঙনের কারণে প্রতিনিয়ত ঘরবাড়ি সরানো চরবাসীর জন্য অসহনীয় কষ্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিস্তার পানি কমে যাওয়ার পর থেকে উপজেলার শ্রীপুর, হরিপুর, বেলকা, চণ্ডিপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে নদীভাঙন শুরু হয়েছে। যতই পানি কমছে ততই নদীভাঙন বেড়েই চলছে। বিশেষ করে হরিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নে তীব্র আকারে নদীভাঙন দেখা দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত কয়েক মাসের অব্যাহত নদীভাঙনে সহস্রাধিক বসতবাড়ি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। সেই সাথে হাজার একর জমি মৌসুমি ফসলসহ তিস্তা নদীতে চলে গেছে। হরিপুর ইউনিয়নের মাদারিপাড়া গ্রামের ওয়াহেদ আলী জানান, ৫৫ বছর বয়সে এ পর্যন্ত ১০ বার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন। চলতি বছরে তিন বার নদীভাঙনের শিকার হয়েছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আমি আর নদীভাঙন মোকাবেলা করতে পারছি না।
হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি বলেন, নদী পাড়ের মানুষ আমি নিজে। আমি জানি নদীভাঙনের কষ্ট ও জ্বালাযন্ত্রণা। নদীভাঙন রোধে সরকারের বড় পদক্ষেপ ছাড়া আমাদের পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান জানান, নদীভাঙন রোধ, সংস্কার, সংরক্ষণে আসলে বৃহৎ প্রকল্পের প্রয়োজন। এতে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তবে ইতোমধ্যে ৪০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী লুতফুল হাসান জানান, নদীভাঙন রোধে জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন নদীভাঙন কবলিত এলাকায়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে নদীভাঙনের বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, জনস্বার্থে জাতীয় সংসদে নদীভাঙন বিষয় নিয়ে আমি কয়েক দফায় বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। ইতোমধ্যে হরিপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন নদীভাঙন কবলিত এলাকায় কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার জিও টিউব ও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সাহারা মরুভূমির গরমের মতো অনুভূত হচ্ছে : সরকারকে দায়ী করে রিজভী মধুখালীর পঞ্চপল্লীতে ২ ভাইকে হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশ শ্রীলঙ্কাভিত্তিক এয়ারলাইন্স ফিটসএয়ারের ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট চালু রোহিঙ্গা ইস্যুতে একসাথে কাজ করবে ঢাকা-ব্যাংকক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইলি হামলায় আহত শিশুর মুখে ২০০ সেলাই বিষখালীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান : জেলে নিখোঁজ, আহত ২ দক্ষিণ এশিয়ার যে শহরগুলোর তাপমাত্রা এখন সর্বোচ্চ গাজীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে অটোরিকশার ধাক্কায় হতাহত ৫ চৌগাছায় সিদ কেটে স্বর্ণের দোকানে চুরি দুর্নীতির মামলায় কৃষিমন্ত্রীকে আটক করল ইউক্রেন মোরেলগঞ্জে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা

সকল