২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খাল দখল করে মাছচাষ হুমকিতে মুহুরী প্রকল্প

৩ ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা
-

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সরকারি খাল দখল করে মৎস্য প্রকল্প গড়ে তুলছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে বর্ষা মৌসুমে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে তিনটি ইউনিয়নে স্থানীয় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে মুহুরী প্রজেক্টের বাঁধ, নোয়াখালী-সোনাগাজী-জোরারগঞ্জ সড়ক। এ বিষয়ে চলতি বছরের জুন মাসে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক ও নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে লিখিত একটি চিঠি দিয়েছে স্থানীয় বাঁশখালী মৎস্য চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি সংগঠন। এরপর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন গিয়ে খাল দখল বন্ধ করে দেন। কিন্তু গত ১৫-২০ দিন ধরে স্থানীয় বাঁশখালী এলাকার মজিবুল হকের ছেলে মহিউদ্দিন প্রকাশ মেয়রের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট ফের বালু উত্তোলনের মেশিন বসিয়ে খালে বাঁধ দিয়ে মৎস্যদীঘি খনন করছে।
বাঁশখালী মৎস্য সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এ টি এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সরকারি খাল দখল করে মৎস্যদীঘি খননের বিষয়ে চলতি বছরের জুন মাসে তারা স্থানীয় ফরহাদ নামে একজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিন পরিদর্শন করে খাল দখল বন্ধ করে দেন। কিন্তু ১৫-২০ দিন ধরে মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রভাবশালী একটি মহল আবারো খালে বালু উত্তোলনের মেশিন বসিয়ে বাঁধ দিয়ে খাল দখল করে মৎস্যদীঘি তৈরি করছে। তিনি আরো জানান, উপজেলার ৩ নম্বর জোরারগঞ্জ, ৫ নম্বর ওচমানপুর ও ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে বর্ষা মৌসুমে এই খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়। খালে বাঁধ দিয়ে পানির গতিপথ বন্ধ করে দিলে এসব ইউনিয়নে ফসলাদি নষ্টসহ হাজার হাজার বাড়িঘর পানিতে ডুবে যাবে। এমতাবস্থায় মুহুরী বাঁধ ঘেঁষে যাওয়া খালে তিনি দীঘি খনন বন্ধের দাবি জানান।
বাঁশখালী মৎস্য চাষি সমবায় সমিতির সহসভাপতি আবুল কালাম বলেন, বিষয়টি আমাদের সাবেক মন্ত্রী, মিরসরাইয়ের এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে অবহিত করেছিলাম। কিন্তু তিনি গত কিছুদিন অসুস্থ থাকায় এখন যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। এই সুযোগে এরা খাল দখল করে মৎস্যদীঘি তৈরি করছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বাঁশখালী বাজারের একটু পশ্চিমে নোয়াখালী-সোনাগাজী-জোরারগঞ্জ সড়ক ঘেঁষে বয়ে যাওয়া দু’টি সরকারি খালে মেশিন বসানো রয়েছে। তার পাশে কিছুদিন আগে খাল বন্ধ করে একটি মৎস্যদীঘি খনন করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে দু’টি মেশিনে সারা রাত বালু উত্তোলন করে খালে বাঁধ দিতে থাকে। দিনের বেলায় বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে এবং আশপাশে কেউ থাকে না। এরা খালে মৎস্যদীঘি খনন করে দখল শর্তে অন্যের কাছে বিক্রি করে দেয়।
অভিযুক্ত মহিউদ্দিন বলেন, আমি সরকারি খাল দখল করে মৎস্যদীঘি খননের বিষয়টি সত্য নয়। পাশে আমার একটি প্রকল্পের মেরামতের জন্য ভাড়ায় নিয়ে একটি বালু উত্তোলনের মেশিন বসিয়েছি।
এ বিষয়ে ওচমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, গত জুন মাসে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে ওই সরকারি খালে বালু উত্তোলন বন্ধ করেছি। কিন্তু এখন আবার বালু উত্তোলন করে দীঘি খননের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি খোঁজ খবর নেবো এবং এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করব।
এ ব্যাপারে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমান বলেন, সরকারি খাল দখল করে বালু উত্তোলন ও মৎস্যদীঘি খননের বিষয়টি আমি অবগত নই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
যশোর কারাগারে হাজতিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ব্যাপক আতঙ্ক চিকিৎসার জন্য ঢাকা ছাড়লেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু কুষ্টিয়াতে মসজিদ কমিটি নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৫ চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত

সকল