৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ভুরুঙ্গামারীতে ভারতীয় পাটবীজেই কৃষকের ভরসা

-

পাটবীজ বপনের ভরা মৌসুমে ভুরুঙ্গামারীতে মিলছে না দেশী জাতের পাটবীজ। কৃষকরা বাধ্য হয়ে ভারতীয় পাটবীজ বপন করছেন। অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় পাটবীজের বেশির ভাগই নি¤œমানের। অনেক কৃষক এরই আগে এসব বীজ কিনে প্রতারিত হয়েছেন।
চলতি মৌসুমে উপজেলার দুই হাজার ২৯০ হেক্টর জমিতে পাটচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; যা গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর বেশি।
উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে চোরাইপথে ভারতীয় পাটবীজ ভুরুঙ্গামারী আসছে এবং উপজেলার সর্বত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে। এসব পাটবীজের প্যাকেটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার, দিনহাটা, আসামের ধুবরী জেলার নাম এবং রাজা, রানী, শংখ, প্রদীপ, সূর্য, বাঘ, পান পাতা, ট্রাক্টর, চাকাসহ বিভিন্ন ধরনের লোগো রয়েছে। প্রতি কেজির এক একটি প্যাকেট দুই শ’ থেকে আড়াই শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলায় বিএডিসির ১৬ জন অনুমোদিত বীজ ডিলার রয়েছেন তবে তাদের কাছেই পাওয়া যায়নি দেশী জাতের পাটবীজ। বিএডিসির ডিলারদের অভিযোগ, ভারতীয় পাট বীজে বাজার সয়লাব। দেশী পাট বীজের প্রতি কৃষকদের তেমন আগ্রহ নেই, তাই তারা বিএডিসির বীজ রাখেন না।
কৃষক আবদুস সাত্তার, শহিদুল ইসলাম ও আমির আলী জানান, এখন পাটবীজ বপনের উপযুক্ত সময় কিন্তু বাজারে বিএডিসির বীজ পাওয়া যাচ্ছে না। বিএডিসির বীজ না পাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে তারা ভারতীয় পাটবীজ বপন করছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, রবি-১ জাতের পাটবীজের ফলন আশাব্যঞ্জক। কৃষক ভাইদের রবি-১ জাত চাষ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। সেই সাথে ভারতীয় পাট বীজ না কিনতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement