বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে পৌর শহরে রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক মশিউর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে রোগীর অভিভাবককে আটকিয়ে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার সকালে মোরেলগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী ধানসাগর গ্রামের মো: আল আমীন শিকদার।
আল আমীন শিকদার বলেন, পার্শ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলার বি-ধানসাগর গ্রামের তার শালিকা গর্ভবতী হাবিবা আক্তারের (২০) আল্ট্রাসনোগ্রাম করেন ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডা: শর্মী রায়। আল্ট্রাসনোগ্রাম অনুযায়ী রিপোর্টে ডেলিভারির তারিখ ধার্য করা হয় ২৭ নভেম্বর। ধার্যকৃত ডেলিভারি তারিখের এক মাস ১৭ দিন আগে ১৭ অক্টোবর হাবিবা আক্তারের ব্যথা অনুভব হলে ফাতেমা মমতাজ ক্লিনিকের এক নার্সের তত্ত্বাবধায়নে সন্তান প্রসব করান।
গত ১৪ আগস্ট ২০১৯ রাইসা ক্লিনিকের কর্তব্যরত ডা: শর্মী রায় আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে রোগীর শারীরিক অবস্থা এবং রোগীর নবজাতক শিশুর ডেলিভারির ২৭.১১.২০১৯ সম্ভাব্য তারিখ ধার্য করেন। ওই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী সম্ভাব্য তারিখের এক মাস ১৭ দিন আগেই গত ১৭.১০.২০১৯ইং সকালে গর্ভবতী হাবিবার ব্যথা অনুভব হলে ফাতেমা মমতাজ ক্লিনিকের অভিজ্ঞ নার্সের তত্ত্বাবধানে সন্তান প্রসব করান তিনি। এ দিকে ওই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টটিতে ডা: শর্মী রায় স্বাক্ষর নেই। স্বাক্ষর ছাড়াই দেয়া হয়েছে রোগীর অভিভাবকদের।
প্রসবিত শিশুর জন্মের পরেই শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে ওই দিনই বিকেলে রাইসা ক্লিনিকে কর্তব্যরত ডাক্তার শর্মী রায়কে বিষয়টি অবহিত করার জন্য ক্লিনিকে আসেন আল আমীন। রিসিপশনে রাইসা ক্লিনিকের দেয়া আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টটি দেখিয়ে বলেন, সাধারণ রোগীদেরকে ভুল রিপোর্ট দিয়ে এভাবে বিভ্রান্ত করছেন কেন আপনারা? আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টের এক মাস ১৭ দিন আগেই সন্তান প্রসব হলো কিভাবে।
এ কথা বলতে না বলতেই রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক মশিউর রহমান মুকুল তার স্টাফদেরকে দিয়ে আল আমীন শিকদারকে রুমে ডেকে নেন। একপর্যায়ে পরিচালক তার রুমের দরজা আটকিয়ে শারীরিকভাবে তাকে নির্যাতন করেন এবং তার সাথে থাকা আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টসহ বিভিন্ন কাগজপত্র টেনে নেয়ার জন্য ধস্তাধস্তি করেন; যা ওই ক্লিনিকের সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত রয়েছে।
এ ছাড়াও লিখিত অভিযোগে আল আমীন আরো বলেন, রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক মশিউর রহমান মুকুল হুমকি দেন ঘটনাটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তার হাত-পা ভেঙে দিবে, এমনি বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হবে তাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা