নেত্রকোনা-৪ (মোহনগঞ্জ-মদন-খালিয়াজুরী) আসনে কারাবন্দী সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহধর্মিণী তাহমিনা জামানকে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে।
এ আসনে সাধারণ ভোটারদের মাঝে নানান কারণে কারাবন্দী লুৎফুজ্জামান বাবরের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০১ সালের অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো বিএনপি তথা চার দলীয় ঐক্যজোটের মনোনয়নপ্রাপ্ত হয়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মমিনকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন লুৎফুজ্জামান বাবর। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভ করার পর তিনি অবহেলিত নিজ সংসদীয় এলাকার উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগী হন। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট, হাওরের ওপর দিকে ডুবন্ত সড়ক নির্মাণ, বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা, মদন-ঢাকা সরাসরি বিআরটিসি বাস চালুসহ বহুবিধ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে ওই এলাকার আমূল পরিবর্তন ঘটে।
২০০৮ সালের নির্বাচনে লুৎফুজ্জামান বাবরকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ায় ওই আসনে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মমিনের বিধবা স্ত্রী রেবেকা মমিন নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে রেবেকা মমিনই পুনর্নির্বাচিত হন। নেত্রকোনা-৪ আসনে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে লুৎফুজ্জামান বাবরের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকায় তাকে নিয়েই ওই এলাকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘূর্ণায়মান হতে থাকে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলীয় হাইকমান্ড একাধিক জরিপ শেষে লুৎফুজ্জামান বাবরের সহধর্মিণী তাহমিনা জামানকে মনোনয়ন দেয়। এ আসনে আবারো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন হয়েছেন বর্তমান এমপি রেবেকা মমিন। প্রধান দুই দলের মনোনীত দুই নারীর মধ্যে একটি উপভোগ্য নির্বাচনী লড়াই জমে উঠবে বলে সবারই ধারণা করছেন।
তবে কারাবন্দী লুৎফুজ্জামান বাবরের প্রতি সাধারণ ভোটারদের আবেগ ও সহানুভূতির কারণে তার স্ত্রী তাহমিনা জামান তথা ধানের শীষ প্রতীক ভোটারদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করতে পারে বলে নির্বাচনী বোদ্ধারা ধারণা করছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা