৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিয়ানমারের রাজধানীতে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা

- ছবি : সংগৃহীত

মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিতাওয়ের দু’টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। বৃহস্পতিবার তারা এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, মায়ানমারে সেনা শাসনের বিরোধীরা বৃহস্পতিবার বলেছে, রাজধানী নাইপিতাওতে তারা দু’টি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এটি নিশ্চিত হলে তা জান্তা সরকারের ভাবমূর্তির জন্য একটি বড় ধরণের আঘাত হবে।

তবে রয়টার্স স্বাধীনভাবে এই তথ্য যাচাই করতে পারেনি। তারা জান্তা সরকারের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করতে পারেনি। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলোতে এখনো এই জাতীয় কোনো ঘটনার সংবাদ প্রচারিত হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে তৎকালীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে প্রথমবার ক্ষমতা দখল করেছিল মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। দেশটিতে সামরিক বাহিনীবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর উত্থানও ঘটে ওই সময়ই।

আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৬২ সাল থেকে এ পর্যন্ত মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও তাদের স্থাপনাকে লক্ষ্য করে যত হামলা ঘটেছে, সেসবের মধ্যে বৃহস্পতিবারের হামলাটি সবচেয়ে বড়।

নাগ জোটের নেইপিতৌ শাখার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, জোটের প্রতিরক্ষা বিভাগের নির্দেশে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) এই হামলা চালিয়েছে।

মিয়ানমারে বর্তমানে জান্তাবিরোধী যত সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে, সেগুলোর ঐক্যমঞ্চের নাম পিপলস ডেমোক্রেটিক ফোর্স।

২০২০ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনা বাহিনী। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লেইং এ অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

অভ্যুত্থানে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চিসহ তার নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি’র (এনএলডি) সরকারের মন্ত্রিসভা, সংসদ সদস্য, ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে কারগারে পাঠানো হয়।

সূত্র : রয়টার্স ও অন্যান্য


আরো সংবাদ



premium cement