২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কারাবাখ যুদ্ধের ব্যাপারে অপপ্রচার চালাচ্ছে আরমেনিয়া : আজারবাইজান

কারাবাখ যুদ্ধের ব্যাপারে অপপ্রচার চালাচ্ছে আরমেনিয়া : আজারবাইজান - ছবি : সংগৃহীত

কারাবাখ যুদ্ধের সময় আর্মেনিয়া যে অপপ্রচার চালিয়েছিল, এখনো তা অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন আজারবাইজান সামরিক বাহিনীর এক কর্মকর্তা।

আজারবাইজানের সামরিক বিশেষজ্ঞ কর্নেল শায়ের রামালদানভ বলেছেন, দ্বিতীয় কারাবাখ যুদ্ধের সময় আর্মেনিয়া তার সেনাবাহিনী সম্পর্কে যে অপপ্রচার চালিয়েছিল, নতুন করে আবার সেই অপপ্রচার চালাচ্ছে। শনিবার তিনি একথা বলেন, ট্রেন্ড নিউজ এজেন্সি এ খবর দিয়েছে।

একটি ইউটিউব চ্যানেলে আর্মেনিয়ান সামরিক বিশেষজ্ঞ ভ্যান হামবার্দজুমিয়ান যুদ্ধের সময় তাদের দ্বারা কৌশলগত ইস্কান্দার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন যে, আজারবাইজানের ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্যটি মিথ্যা।

রামালদানভ জোর দিয়ে বলেন, ‘কারাবাখ যুদ্ধে অবশ্যই ইস্কান্দার (রাশিয়ার তৈরী স্বল্প পাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র ) মিসাইল ব্যবহার করেছিল আর্মেনিয়া, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তারা এটি স্বীকার করেনি। আর্মেনিয়রা যুদ্ধের আগে, যুদ্ধ চলাকালে ও পরে এ মিথ্যা তথ্য অব্যাহতভাবে ছড়িয়েছে’।

আজারবাইজানি কর্নেল, ‘আমাদের কাছে এমন অনেক তথ্য রয়েছে যে, আর্মেনিয়া তাদের নিজ দেশের মানুষের সামনে মিথ্যা তথ্য তুলে ধরছে।আর্মেনিয়ান সামরিক-রাজনৈতিক নেতৃত্ব এটি করেছে কারণ তারা সর্বাগ্রে নিজেদের বাঁচাতে চায়। তবে, দেশটির জনগণ যদি সত্যটা জানতে পারে, তাহলে এসব সামরিক-রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবস্থা শোচনীয় হয়ে উঠতে পারে’।

আজারবাইজান সামরিক বাহিনীর ভাষ্য এটি, ‘ইস্কান্দার মিসাইল তারা ব্যবহার করেছিল বলেই আমরা শুশায় এর টুকরা দেখতে পাই।এছাড়া বাকুতে ইস্কান্দার ছাড়াও অন্যান্য মিসাইল ব্যবহারের তথ্যও আমাদের কাছে রয়েছে।যা হোক, আজারবাইজানের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট সফলভাবে এই আক্রমণগুলো প্রতিরোধ করে এবং আমাদের আকাশসীমা রক্ষা করে’।

কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়রা তাদের অস্ত্রাগারের সব ধরনের অস্ত্রই ব্যবহার করেছে। কিন্তু দেশটিতে প্রচারিত যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রচারণাটি ছিল সবচেয়ে বড় মিথ্যা।অবশ্য তারা বিলম্বে হলেও স্বীকার করেছেন যে, তারা যে ক্ষয়ক্ষতির ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রকৃত পরিমাণ ছিল তার দ্বিগুণ। আর্মেনিয় সেনাদের দেহাবশেষ এখনো পাওয়া যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন কর্নেল রামালদানভ।

২০২০ সালের ১০ নভেম্বর, কারাবাখের উঁচু অঞ্চল যাকে নাগারনো-কারাবাখও বলা হয়, সেখানে ৪৪ দিনের যুদ্ধশেষে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দু’দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে যাতে যুদ্ধ বন্ধসহ বৃহত্তর সমাধানের জন্য কাজ করা যায়।

ছ’ সপ্তাহের লড়াইয়ের মাধ্যমে আজারবাইজান প্রায় তিন দশকের দখলদারিত্ব থেকে কারাবখ অঞ্চলকে মুক্ত করে। পর বেশ কয়েকটি শহর ও প্রায় তিন শ’ বসতি ও গ্রাম আর্মেনিয়দের কাছ থেকে দখলে নেয় আজারবাইজান।


আরো সংবাদ



premium cement