২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মিয়ানমারে অব্যাহত বিক্ষোভ, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৮

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে মান্দালয়ে বিক্ষোভ - ছবি : এএফপি

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের তিন মাস পার হওয়ার পরেও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে দেশটিতে। দেশজুড়ে চলমান বিক্ষোভে রোববার নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত আটজন নিহত হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়।

রোববার সামরিক শাসনের বিরোধী বিক্ষোভকারীদের আহ্বানে 'বৈশ্বিক মিয়ানমার বসন্ত বিপ্লব' পালনের অংশ হিসেবে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করা হয়।

আয়োজকরা বিক্ষোভের আয়োজনের বিবৃতিতে মিয়ানমারের মানুষের কাছে আহ্বান করেন, 'মিয়ানমারের ঐক্যবদ্ধ জনতার আওয়াজে দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দাও।'

মিয়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ে বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন।

এছাড়া মধ্যাঞ্চলীয় ওয়েটলেট শহরে তিনজন, উত্তর-পূর্বের শাস প্রদেশে ভিন্ন ভিন্ন শহরে দুই জন এবং উত্তরে জেড খনিসমৃদ্ধ পাকান্ট শহরে একজন নিহত হয়েছে বলে মিয়ানামারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানানো হয়।

এদিকে মিয়ানমারের অবস্থা পর্যব্ক্ষেণকারী থাইল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনারস (এএপিপি) তাদের দৈনিক প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, ১ ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে রোববার পর্যন্ত দেশটিতে বিক্ষোভে সামরিক জান্তার দমন অভিযানে অন্তত সাত শ' ৬৫ জন নিহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বিক্ষোভ সংশ্লিষ্টতায় সামরিক জান্তার হাতে বন্দী হয়েছেন মোট চার হাজার ছয় শ' নয় জন। বর্তমানে বন্দী রয়েছেন তিন হাজার পাঁচ শ’ ৫৫ জন। এছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে আরো এক হাজার তিন শ' ৯৬ জনের নামে।

সামরিক জান্তা প্রশাসন এএপিপিকে বেআইনি সংস্থা হিসেবে উল্লেখ করে বলে আসছে, মিয়ানমারে সহিংসতায় মোট দুই শ' ৫৮ বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর তারা নিশ্চিত করেছে। এছাড়া বিক্ষোভে ১৭ পুলিশ ও সাত সেনাবাহিনীর সদস্য নিহত হয় বলে জানায় তারা।

১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী তাতমাদাও দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটায় এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার করে। সাথে সাথে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্কের জেরে এই অভ্যুত্থান ঘটায় সামরিক বাহিনী।

সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চিসহ বন্দী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির পাশাপাশি সামরিক শাসন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

সূত্র : আলজাজিরা


আরো সংবাদ



premium cement