২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


গাজার প্রথম নারী ট্যাক্সিচালক যিনি!

গাজার প্রথম নারী ট্যাক্সিচালক যিনি! - সৃংগৃহীত

বেকারত্বের কাছে হার না মেনে গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে তুলে নিয়েছেন গাজার নায়েলা আবু জিব্বা। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজায় বসবাসরত ৩৯ বছর বয়সী নায়েলা আবু জিব্বার জীবন অনেকটাই কঠিন। পাঁচ সন্তানের মা নায়েলা সমাজসেবা বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেও কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। গাজায় বর্তমানে বেকারত্বের হার ৪৯ শতাংশ, যা ইসরায়েল ও মিশরে গিয়ে কাজ করার কড়াকড়ি বাড়ানোর ফলে আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

সংসার চালানোর জন্য ঘরে বসে না থেকে নায়েলা একটি সাদা রঙের ‘কিয়া’ গাড়ি কেনেন। চালু করেন ‘আল-মুখতারা’ নামের ট্যাক্সি সেবা। বর্তমানে আল-মুখতারা ট্যাক্সি সেবা একটি মাত্র ট্যাক্সি থাকলেও নায়েলা স্বপ্ন দেখেন এই ব্যবসাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি রায়টার্সকে বলেন, ‘আমার স্বপ্ন হচ্ছে একদিন আল-মুখতারা ফ্লিট বা গাড়ির বহর তৈরি করার।’

ট্যাক্সিচালিয়ে নায়েলা শুধু উপার্জন করেন না। গাজার নারীদের কাছে নারী ট্যাক্সিচালক থাকাটাও একটা স্বস্তির বিষয়। নায়েলা বলেন, ‘কোনো বিউটি পার্লার থেকে সেজেগুজে বের হবার সময় বা কোনো অনুষ্ঠানে যাবার সময় একজন নারীর সাথেই চলাফেরা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে আমার গ্রাহকরা।’ এখন পর্যন্ত নায়েলার সব খদ্দেরই নারী। অনেকেই তাদের পছন্দের দিনে নায়েলাকে সাথে পেতে বেশ আগেই ট্যাক্সি বুক করেন।

করোনা সংক্রমণের প্রকোপ ছাড় দেয়নি ফিলিস্তিনের গাজা অঞ্চলকেও। সেখানে এখন পর্যন্ত ১২ হাজারেরও বেশি সংক্রমণ পাওয়া গেছে। মারা গেছেন ৫৬ জন। এসব মিলিয়ে স্থানীয় মানুষ আগের মতো তাদের দৈনন্দিন ঘোরাফেরা বা কাজকর্ম করতে পারছেন না। এর প্রভাব এসে পড়েছে নায়েলার ব্যবসায়ও। কিন্তু তাতে দমে যাননি তিনি। সীমিত পরিসরেই নিয়ম মেনে, মাস্ক পরে ট্যাক্সি সেবা পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।

করোনা ছাড়াও নায়েলার এই কাজ সোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার হয়। এ বিষয়ে নায়েলা বলেন, ‘আমি নানা ধরনের তীর্যক মন্তব্য শুনি। কেউ কেউ বলেন যে এই কাজ আসলে পুরুষের করার কথা। নারীরা নাকি দুর্ঘটনা ঘটান। কিন্তু আসলে নারীরা অনেক বেশি ধৈর্য্যশীল। আমরা অনেক বেশি সাবধান হয়েই গাড়ি চালাই। আর সোশাল মিডিয়াতে খারাপের চেয়ে ভালো মন্তব্যই আমার চোখে পড়ে।’
সূত্র : ডয়চে ভেলে


আরো সংবাদ



premium cement