৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘মিসরকে পরমাণু শক্তিধর করতে চেয়েছিলেন মুরসি’

মোহাম্মাদ মুরসি -

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল ও দেশীয় এজেন্টদের ভূমিকাই ২০১৩ সালে মিসরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটার পেছনের মূল কারণ বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী পদার্থবিদ ড. আবদুল কাদির খান।

যিনি পাকিস্তানি পরমাণু বোমার জনক হিসেবে পরিচিত খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট মুরসি রাশিয়া, ভারত ও পাকিস্তান ভ্রমণ করেছিলেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে তিনি মিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ পারমাণবিক চুল্লি চালু করতে রাশিয়ার সাথে একমত হন। একই উদ্দেশ্যে তিন বছর পর মিসরে আরেকটি পারমাণবিক চুল্লি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও রাজি হন তিনি।

খান বলেন, ‘মিসরের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা না বলা আমার পক্ষে ভালো হতো। তবে মিসরের জনগণকে প্রেসিডেন্ট মুরসির এই পরিণতির পেছনের সত্যটি জানতে হবে। মিসরীয়রা কী জানেন যে, এই সফরের ফলাফল পশ্চিমের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল? মিসর দেশটি থেকে বিদ্যুৎ সমস্যা চিরতরে সমাধান করত, পাশাপাশি আফ্রিকা মহাদেশকে আলোকিত করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যুত রফতানি করত।’

খান বলেন, ‘মিসরীয়দের অবশ্যই জানা উচিত যে প্রেসিডেন্ট মুরসির শাসনামলে মিসর দুটি জার্মান সাবমেরিন পেয়েছিল। ইসরাইল মিসরকে এই ধরনের সাবমেরিন না দেয়ার জন্য জার্মানিকে চাপ দিয়েছিল। কারণ এই সাবমেরিন সঠিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজে আঘাত করার সক্ষমতা অর্জন করত মিসর।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্চে জার্মানি-মিসরের মধ্যকার সাবমেরিন বিক্রির কথা জানতে পেরেছিলেন এবং অনুমোদনও করেছিলেন, কিন্তু তথ্যটি রাষ্ট্রের জন্য গোপনীয় হওয়ার কারণে প্রকাশ করেননি। খান আরো ব্যাখ্যা করেছেন যে, অনেক মিসরীয়ই একটি সামরিক উপগ্রহ স্থাপনের গুরুত্ব বুঝতে পারে না, যা ইসরাইলের ওপর ব্যাপক নজরদারি করতে পারে। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের সাথে মুরসি সামরিক উপগ্রহ তৈরির বিষয়ে একমত হয়েছিলেন, তবে ২০১৩ সালের অভ্যুত্থানের জন্য এটি হয়নি; নতুবা আজকে মিসর এমন উপগ্রহের মালিক থাকত।

এ ছাড়া খান দাবি করেছেন যে অনেকে জানেন না যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রেসিডেন্ট মুরসি বলেছিলেন, মিসরের মিসাইল প্রয়োজন, যার জন্য রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট মুরসি এই চুক্তির আলোচনার জন্য মিসরের মেজর জেনারেল আল-তারাজকে পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু সেনাবাহিনীর ওপর মার্কিন চাপ থাকায় এ উদ্যোগটি ব্যর্থ হয়েছিল। মিডল ইস্ট মনিটর 


আরো সংবাদ



premium cement

সকল