২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রক্তজবা

-

মেয়েটা খুব হাসে। কথায় কথায় হাসে। দুঃখ কী, বেদনা কী! এসব মনে হয় মেয়েটাকে কখনো স্পর্শ করেনি। আমি আমার এই ছোট জীবনে বহু মেয়ের মুখ দেখেছি। সেসব মুখের দিকে খানিকক্ষণ তাকিয়ে থেকে আবার চোখ ফিরিয়ে নিয়েছি। কিন্তু জবার মুখের দিক থেকে আমি কিছুতেই চোখ ফেরাতে পারি না। এমন মুখ আমি আর কোথাও দেখিনি। পৃথিবীর সব মায়া যেন জমাট বেঁধে আছে ওই মিষ্টিমুখে। যাকে দেখার জন্য সারাক্ষণ আমার প্রাণে ভীষণ ব্যাকুলতা। মেয়েটার নাম জবা। তবে আমি রক্তজবা বলে ডাকি। মানুষ নেশা করলে হয় নেশাখোর। মদ খেলে খেলে হয় মাতাল। আর আমি জবার প্রেমে হয়েছি প্রেমান্ধ। একদিন সাহস করে হাতে একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে জবাকে বলে ফেললাম, ‘জবা আমি তোমাকে ভীষণ ভালোবাসি। চোখ বন্ধ করলে আমি তোমাকে দেখতে পাই, চোখ খুললেও আমি তোমাকে দেখি। তুমি কি আমার জীবনসঙ্গী হবে?’একফালি হাসি দিয়ে ফুলগুলো হাতে নিয়ে চলে গেল। যাওয়ার সময় মধুর স্বরে শুধু বলে গেল, ‘ধন্যবাদ।’ আমি úষ্ট বুঝতে পারলাম না জবার মনের খবর। জবা কি আমাকে ভালোবাসে? না হলে ফুলগুলো হাতে নিয়ে অমন হাসি দিয়ে চলে যাওয়ার রহস্য কী? কোনো কিছুর উত্তর পাচ্ছি না। এমন দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর মনে হলো, ভালোবাসার কথা বলতে পেরেছি এইটুকুই তো অনেক। এমন পরম সৌভাগ্যই বা কয়জনের হয়? আমার হৃদয়ে জবার প্রেমের যে বাঁশি বাজছে সে ক্রন্দনময় সুর কাউকে বলতে পারি না। দেখাতে পারি না। আমি ভাসছি ভালোবাসার উতলা হাওয়ায়। তবে ভালোবাসার কথা বলতে পেরে নিজেকে খুব হালকা লাগছে। চেপে রাখা কথা প্রকাশিত হলে এমন হয় বুঝি! পরের দিন কলেজ ছুটির পর জবা আমার সাথে ঘুরতে যেতে চাইল। আমি এক কথায় রাজি হয়ে গেলাম। গন্তব্য অজানা। ঘুরতে ঘুরতে শহরের বাইরে তাতালপুর নামক এক জায়গায় পৌঁছালাম। গ্রামের সরু পথ ধরে দু’জন হাঁটছি। ভাবছি মনে মনে, আজ জবা আমাকেও হয়তো ভালোবাসার কথা বলবে। বাকিটা জীবন এভাবেই হয়তো আমার সাথে পথ হাঁটবে। রাস্তার দু’ধারে সাদা কাশফুল। পাশে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে ধানক্ষেত। আমার দিকে তাকাল করুণ দৃষ্টিতে। জবার হাতের উষ্ণ পরশে আমার দেহে বইছে তখন হাজার বোল্টের বৈদ্যুতিক প্রবাহ। কিন্তু জবা যা বলল তা শোনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। শোনো ‘অনন্ত, আমি একজনকে ভালোবাসি। আমাদের ছয় মাসের সম্পর্ক। ও বুয়েটে পড়ে। প্লিজ! তুমি এসব মাথা থেকে ঝেড়ে ফেল। আমাকে ভুলে যাও।’ আমার উষ্ণ দেহ হিম পাথরে পরিণত হলো। জবার হাতটা আমার হাত থেকে ছাড়িয়ে নিতে নিতে বললাম, ‘ভালো থেকো’। সেই বিচ্ছেদের দিনটির আজ ছয় বছর পূর্ণ হল। জবার সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। তবুও আজো জবাকে ভালোবাসি। এই ছয় বছরে বন্ধুত্ব করিনি কোনো মেয়ের সাথে। জবাকে রক্তজবা বলে ডাকার যৌক্তিকতা আজ বুঝতে পারছি। সেই যে ছয় বছর আগে অন্তরে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল। হ

 


আরো সংবাদ



premium cement
চেয়ারম্যান তপন ও অজিত মেম্বারকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় ১৪ ডাকাত সদস্য গ্রেফতার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়াল যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’

সকল