৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জননী আমার

-

মাকে নিয়ে লিখতে গেলে আসলে লেখা শেষ হবার নয়। বোধোদয়ের পর থেকে নিজের মাকে পেয়েছি একাধারে স্নেহ-মমতা আর অকৃত্রিম ভালোবাসার ঝরনাধারা হিসেবে। যেটুকু শাসন ছিল তার ভেতরেও ছিল সত্যিকারের কল্যাণ। এখন যা পদে পদে অনুধাবন করি। শিক্ষাজীবনের সূচনা থেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পেছনে সবটুকু অবদানই ছিল মায়ের। বাবা হয়তো অর্থের জোগান দিয়েছেন। সন্তানদের জন্য পরিশ্রম করতে মাকে কখনো দেখিনি ক্লান্ত হতে। সংসারের বড় সন্তান হওয়ায় মার থেকে সবচেয়ে বেশি পাওয়ার সৌভাগ্য তো ছিলই। যদিও মায়ের চোখে সব সন্তানই সমান। তবু প্রথম সন্তানের জন্য এই সমতার ঊর্ধ্বে গিয়েও কিছু থেকে যায়। বিয়ে করেছি, বাবা হয়েছি, এখনো মায়ের কাছে যেন সেই ছোট্টটি আছি। আমার অসুস্থায়, ক্লান্তিতে মায়ের উদ্বিগ্নতার কোনো কমতি নেই।
একটা সন্তানের জীবনের বড় একটা অংশজুড়ে থাকে মায়ের সাথে লক্ষ-হাজার স্মৃতি। খুব নিকটে উল্লেখযোগ্য যে স্মৃতির কথা মনে পড়ে তা হলোÑ বছর দু-তিন আগে আমার বসন্ত রোগ হয়েছিল। শরীরের এমন কোনো অংশ বাকি ছিল না যেখানে হয়নি। প্রথাগতভাবেই যৌথ বিছানা ছেড়ে আলাদা রুমে আলাদা বিছানায় আমাকে থাকতে হলো। (ফাঁকে বলে রাখি, মা থাকেন গ্রামের বাড়িতে। যখন বসন্ত হলো সৌভাগ্যক্রমে মা আমার শহরের বাসায় এসেছিলেন নিজের শরীরের নিয়মিত চেকআপ করাতে।) যেহেতু এটি ছোঁয়াচে রোগ। বাস্তবতার খাতিরেই সন্তানকে রক্ষার জন্য আমার স্ত্রী আমাদের ছোট্ট মেয়েটাকে নিয়ে একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এ রুমে আসত না। কিন্ত আমার মায়ের শরীর ততটা ভালো না থাকা সত্ত্বেও সব বাস্তবতার ঊর্ধ্বে গিয়ে তিনি আমার সেবা করেছেন। আমার সারা শরীরে এতটা ক্ষত তৈরি হয়েছিল যে নিজে নিজে চলার ক্ষমতা ছিল না। মা আমাকে ধরে ওয়াশ রুমে নিয়ে যেতেন। নিজ হাতে খাইয়ে দিতেন। যন্ত্রণায় যখন কাতরাতে ছিলাম, মা সারাক্ষণ আমার শিয়রে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছেন আর সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করতে বলেছেন। যন্ত্রণায় রাতে আমার ঘুম হতো না। রাতে যদি আমার কিছু প্রয়োজন হয় সেই কথা ভেবে মা আমার পাশেই শুয়েছেন। আমার সাথে সাথে রাত জেগেছেন। শেষ রাতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেও আমার গায়ে হাত দিয়ে রেখেছেন যেন কোনো প্রয়োজনে জেগে উঠতে পারেন। মায়ের সেই ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে অগোচরেই আমার চোখ ভিজেছে। বারবার মনে হয়েছে একটি কথা-একেই বুঝি মা বলে! অনুতাপ হয়েছে, আজো হচ্ছে, সেই মায়ের জন্য সন্তান হিসেবে কতটুকু করতে পারছি? সৃষ্টিকর্তার কাছে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করি-মাকে ভালো রেখো। মায়ের জন্য করবার তৌফিক লক্ষগুণ বাড়িয়ে দাও।
তাজমহল রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা


আরো সংবাদ



premium cement
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের দাবি সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াবের পেকুয়া উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপির ২ প্রার্থী নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ১৮৫ দিন : শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ২ হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম, কার্যকর বুধবার বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী ‘ইসলামী সমাজ বিপ্লব ছাড়া মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়’ ইসরাইলে জার্মানির অস্ত্র বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে আইসিজের অস্বীকৃতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন শাহরাস্তি উপজেলা আ’লীগ সভাপতি গ্রীষ্মের ছুটি কি এপ্রিলে এগিয়ে আনা দরকার?

সকল