০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


সিলেটে মেয়র আরিফের অভিযান

- ছবি : সংগৃহীত

সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের সিতারা ম্যানশনের রাস্তার ওপর অবৈধভাবে নির্মিত ৫টি দোকান কোঠা উচ্ছেদ করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন। সোমবার নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।

সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) জিন্দাবাজার এলাকায় গ্রাহকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবদ বকেয়া বিল আদায়ে করতে এসে রাস্তার ওপর অবৈধ দোকান চোখে পড়ে মেয়র আরিফের।

তিনি বলেন, এ রাস্তা সিতারা ম্যানশনের নিজস্ব রাস্তা। রাস্তার উপর দোকান নির্মাণে সিসিক কোন অনুমোদন দেয়নি। অনুমোদন ছাড়াই দোকান কোঠা নির্মাণ করায় এগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে।

এদিকে, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গ্রাহকদের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স, পানির বিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিল বোর্ড বাবত বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোববার সকালে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় দিনভর সিসিকের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনসুফের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এসময় প্রায় সোয়া ২ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়। এনিয়ে ৩ দিনে প্রায় ২৬ লাখ টাকা বকেয়া বিল আদায় করা হয়েছে। গত ২ জানুয়ারি সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে বকেয়া ১’শ কোটি টাকা আদায়ে অভিযান শুরু হয়।

সিসিক সূত্র জানায়, দীর্ঘ দন থেকে বিল খেলাপিদের বিরুদ্ধে বার বার নোটিশ প্রদান করা সত্বেও বিল পরিশোধ না করায় বকেয়া বিল আদায়ে অভিযান পরিচালানা করা হচ্ছে। বিল আদায়ের লক্ষ্যে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী গঠন করেন তিনটি টিম।

রোববার অভিযান শেষে সিসিকের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আ ন ম মনসুফ জানান, সিটি কর্পোরেশনের মূল আয়ের খাত হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। এই খাতের আয় থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ও আনুষাঙ্গিক খরচ চালায় সিটি কর্পোরেশন। আর এই খাতে বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬৭ কোটি টাকা, পানির বিলের বকেয়ার পরিমাণ ১২ কোটি টাকা, ট্রেড লাইসেন্স বাবত বকেয়ার পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিল বোর্ড বাবত বকেয়ার পরিমাণ ১ কোটি টাকা । এমতাবস্থায় কর্পোরেশনের অন্যসব কাজ-কর্ম বন্ধ রেখে বাধ্য হয়ে অভিযানে নামতে হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement