২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


অফিসের বাইরে ‘বস’-এর ফোন ধরতে হবে না আর!

প্রতিকী ছবি -

অফিস সময়ের পরও বসের ফোনের জ্বালায় অতিষ্ঠ অনেক চাকরিজীবী। বিশেষ করে নারীরা এই সমস্যার সম্মুক্ষীণ হন বেশি। পুরুষরা যে হন না তা কিন্তু নয়। তবে এই উটকো ঝামেলা যাতে পোহাতে না হয় সেজন্য ভারতে এরকম একটি আইন পাশ হতে পারে বলে জানা গেছে।

কাজের সময়ের বাইরে বা ছুটির দিনে অফিসের ফোনে জেরবার না হতে হয়? অথবা উত্তর না দিলেও কোনও শাস্তিমলক ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার না থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের? শুনতে যতই অবাস্তব মনে হোক, এমনই একটি প্রাইভেট বিল সংসদে আনলেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। সুপ্রিয়ার প্রস্তাব, এমন আইন আনা হোক, যাতে কর্মজীবন এবং পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য নষ্ট না হয়। যদিও এই ধরনের কোনও বিল এ দেশে আনা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে প্রচুর প্রশ্নের অবকাশ রয়েছে।

শীতকালীন অধিবেশনের শেষ দিনে এই প্রাইভেট বিলটি লোকসভায় পেশ করেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে। বিলের পক্ষে তাঁর যুক্তি, বহু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বেসরকারি ক্ষেত্রে অফিসের কাজের চাপে ব্যক্তিগত জীবন বলে কার্যত আর কিছু থাকে না। প্রায় ২৪ ঘণ্টাই অফিসের কাজের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ফোন ধরা, ই-মেলের উত্তর দেওয়া তো রয়েছেই, এমনকি, বাড়িতেও ল্যাপটপ, কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়তে হয় অফিসের কাজে। আবার ফোন, ই-মেলের উত্তর না দিলে শৃঙ্খলাভঙ্গের কোপেও পড়তে হয়। সুলে বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের ভারসাম্য রক্ষা করতেই ‘ডিসকানেক্ট’ এবং ‘কল রিসিভ’ না করার অধিকার দেওয়া দরকার।


কী প্রস্তাব দিয়েছেন শরদ পওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া? বেসরকারি কর্মীদের মল অধিকারের অংশ প্রস্তাব করা হয়েছে হয়েছে ৭ নম্বর ধারায়। এর মধ্যে রয়েছে, অফিসের বাইরে কর্মীকে তাঁর ‘বস’ ফোন করতেই পারেন। কিন্তু সেই কর্মী ফোন না-ও ধরতে পারেন বা ধরলেও উত্তর দিতে না-ও পারেন। ই-মেলের ক্ষেত্রেও একই আইন প্রযোজ্য হবে। এই সব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আনার প্রশ্নই নেই। এছাড়াও অন্যান্য ধারাগুলিতে কর্মী কল্যাণ কমিটি গঠন, মালিক পক্ষের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত বৈঠক করার মতো বিষয়েও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিলে।

সুপ্রিয়ার বিলে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, বেসরকারি সংস্থায় এই সব কারণে কাজের সমস্যা হলে তা মেটানোর জন্য কর্তৃপক্ষকেই পদক্ষেপ করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি বেসরকারি সংস্থাকে তাদের কাজের ধরন বা প্রয়োজন অনুযায়ী কর্মপদ্ধতি ঠিক করে নিতে হবে, যাতে অফিসের বাইরে থাকা কর্মীদের ‘বিরক্ত’ না করেও কাজে কোনও প্রভাব না পড়ে।

সুপ্রিয়ার বিলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ‘শাস্তি’রও। কোনও সংস্থা এই আইন না মানলে তাদের কর্মীদের মাইনের এক শতাংশ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে। পাশাপাশি ডিজিটাল প্রযুক্তির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এড়াতে এবং এর অপকারিতা সম্পর্কে কর্মীদের সচেতন করার জন্য কাউন্সেলিং করার প্রস্তাবও রয়েছে রাইট টু ডিসকানেক্ট বিলে।

কিন্তু সংসদে এরকম প্রচুর বিল আনেন সাংসদরা। তার মধ্যে অনেকগুলিই সংসদে গৃহীত হয় না। ফলে পাশ হওয়ার প্রশ্নও থাকে না।

সারা বিশ্বের মধ্যে ফ্রান্সই একমাত্র দেশ, যেখানে এই নিয়ম চালু রয়েছে। নিউইয়র্কেও প্রায় একই রকম বিল আনা হয়েছে। এই ধরনের কোনও আইন আনা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে জার্মানিতেও।

তথ্য সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

দেখুন:

আরো সংবাদ



premium cement
চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার নোয়াখালীতে গরমে শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়ল ১৮ শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আকস্মিক পদত্যাগ রাজশাহীর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি, হিটস্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু বরিশালে যাত্রীবেশে উঠে চালকের গলায় ছুরি, প্রতারক দম্পতি গ্রেফতার রাজশাহীর পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে আরো ২ শিশুর মৃত্যু ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার এনজিওর টাকা তুলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় গৃহবধূ নিহত ভিজিএফবঞ্চিতদের মানববন্ধনে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা, আটক ২ ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইনের খসড়ায় মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে : আর্টিকেল নাইনটিন ও টিআইবি পিনাকীসহ দু'জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট, একজনকে অব্যাহতির সুপারিশ

সকল