৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


‘মনে হচ্ছে আমিই নেলসন ম্যান্ডেলা’

তানজিলা কাম্বরানি - ছবি : সংগ্রহ

তার শেকড় আফ্রিকায়; কিন্তু ভিন্ন এক পরিবেশে বেড়ে উঠেও সেই শেকড়কে ভুলতে পারেননি। আজন্ম নিজের মধ্যে ধারণ করেন আফ্রিকার বিপ্লবী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে। তাই নিজে যখন পাকিস্তানের পার্লামেন্টের সিড়িতে পা রাখলেন, নিজের মধ্যেই যেন খুঁজে পেলেন কিংবদন্তী নেলসন ম্যান্ডেলাকে।

মঙ্গলবার নতুন এক ইতিহাসের জন্ম দিয়েছেন তানজিলা কাম্বরানি। পাকিস্তানের রাজনীতির ইতিহাসে প্রথম কোন শিদি নারী হিসেবে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তানজিলা। মঙ্গলবার সিন্ধু প্রদেশের প্রাদেশিক পার্লামেন্টের এমপি হিসেবে শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এই ইতিহাসে পা রাখেন তানজিলা। শিদি জনগোষ্ঠিটি পাকিস্তানের এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এরা মূলত আফ্রিকান বংশোদ্ভূত, বিশেষ করে পূর্ব ও মধ্য আফ্রিকার গ্রেট লেক এলাকা থেকে আসা এদের বেশিরভাগই। কয়েক পুরুষ আগে আফ্রিকা অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ী, নাবিক বা দাস হিসেবে আসা জনগোষ্ঠির অনেকেই এখানে স্থায়ী হয়ে গেছে।

ভারতের কর্নাটক, গুজরাট, হায়দরাবাদ ও পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের মাকরান ও সিন্ধু প্রদেশের করাচি শহরে এই সম্প্রদায়ের বসবাস। বোমা হামলায় নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভূট্টোর দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির(পিপিপি) হয়ে সিন্ধু প্রাদেশিক পার্লামেন্টে সংরক্ষিত নারী আসন এমপি হয়েছে তানজিলা কাম্বরানি।

আফ্রিকার তানজানিয়া থেকে এই অঞ্চলে এসেছিলেন তানজিলার পূর্ব পুরুষরা। পাকিস্তানে জন্ম নিয়ে ও সেখানের আলো হাওয়ায় বেড়ে উঠেও নিজের শেকড়কে ভুলতে পারেননি এই নারী এমপি। শপথ নেয়ার দিনই স্মরণ করিয়ে দেন সেকথা। বলেন, আফ্রিকান বংশোদ্ভূত হওয়ার কারণে আমার একটি আবেগের সম্পর্ক রয়েছে অঞ্চলটির মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার সাথে। আজ মনে হচ্ছে আমি নিজেই যেন ম্যান্ডেলা। আফ্রিকা মহাদেশে এখন পর্যন্ত আর তার মত কোন নেতার জন্ম হয়নি।

তানজিলা বলেন, ‘শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। মনে হয়েছে আমি যেন নেলসন ম্যান্ডেলা। যখন প্রাদেশিক পার্লামেন্টের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠছিলাম, মনে হচ্ছিল যেন মাটিতে চুমু খাচ্ছি। এই মাটি আমাকে এত আশীর্বাদ, সম্মান আর ভালোবাসা দিয়ে গ্রহণ করেছে।’

পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার সেই অপার্থিব অনুভূতির কথা বলতে গিয়ে তানজিলা বলেন, ‘এখন যেহেতু আমি একজন এমপি, আমার ওপর অনেক দায়িত্ব রয়েছে। বিশেষ করে নারী ও আমার নিজ সম্প্রদায়ের জন্য। এই অর্জনের জন্য আমি গর্বিত, সেই সাথে দায়িত্বশীলও’।
তিনি বলেন, আমার উদ্দেশ্য নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করা। শিক্ষা ও বিশুদ্ধ পানির জন্যও কাজ করবো আমি।

কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি নেয়া তানজিলা তার এই অর্জনের জন্য কৃতিত্ব দিতে ভুল করেননি নিজের দলকে। মনে করেন পিপিপিই একমাত্র দল যারা সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কার্যকর চিন্তা করে। বলেন, আমার দলই একমাত্র দল যারা নারী ও সংখ্যালঘুদের রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যধিক সুবিধা দিয়েছে। তারা আমাদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেয় কাজ করার। ইতিহাস ঘাটলেও এই বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া যাবে। হিন্দু দলিত সিনেটর কৃষ্ণা, সুরেন্দর ভালাসাই কিংবা আমার কথা চিন্তা করুন।


আরো সংবাদ



premium cement
শৈলকুপায় মামাতো ভাইদের লাঠির আঘাতে ফুফাতো ভাই নিহত আমরা নিজের দেশেই অদৃশ্য : ভারতের মুসলিমরা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৩৪ রাজনীতির মাঠে যেভাবে খেলছেন ইউসুফ পাঠান মার্কিন রণতরীতে হাউছিদের হামলা ধরপাকড়ের মধ্যেই ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রে গুলিতে ৩ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা নিহত ফিলিপাইনের তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি, বাড়তে পারে আরো শিখ নেতা পান্নুনকে খুন করতে ‘হিটম্যান’ পাঠিয়েছিলেন ‘র অফিসার’ : ওয়াশিংটন পোস্ট দিল্লিকে উড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে কেকেআর করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার

সকল