এক দলিত ব্যক্তি তার নিজের নামের সঙ্গে ‘সিংহ’ শব্দ যোগ করাকে কেন্দ্র করে ভারতের গুজরাটের ঢোলকা শহরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার এ ঘটনায় দুপক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে।
খবরে প্রকাশ, মৌলিক যাদব নামে জনৈক দলিত ব্যক্তি সম্প্রতি ফেসবুকে ঘোষণা করেন, যে তিনি নিজের নামের সঙ্গে ‘সিংহ’ জুড়ছেন। এখন থেকে তিনি মৌলিকসিংহ যাদব নামেই পরিচিত হবেন।
এই নাম পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে রাজপুত ও দলিতদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সাধারণত, রাজপুত সম্প্রদায়ের মানুষরাই নামের সঙ্গে ‘সিংহ’ জোড়েন। পুলিশের কাছে মৌলিক অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার রাতে সহদেবসিংহ বাঘেলাসহ ছয়জন তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এমনকী, তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।
মৌলিকের দাবি, হামলাকারীরা নিজেদের রাজপুত বলে দাবি করছিল। তারা মৌলিককে হুমকি দেয়, কেন তিনি নামের সঙ্গে সিংহ জুড়েছেন?
মৌলিক বলেন, কয়েকদিন আগে বানসকাণ্ঠায় একইভাবে এক দলিত নিজের নামের সঙ্গে ‘সিংহ’ জোড়ায় তার ওপরও হামলা হয়েছিল। সেই হামলার প্রতিবাদস্বরূপ আমি নিজের নামে সিংহ জোড়ার সিদ্ধান্ত নিই।
মৌলিকের দাবি, তার এই সিদ্ধান্তে রাজপুতরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। ফেসবুকে ঘোষণা করার পর থেকেই তার কাছে হুমকি আসতে শুরু করে। এরপরই মঙ্গলবার রাতে হামলা চালানো হয়। বুধবার সহদেবসিংহসহ বাকিদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন মৌলিক।
এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, রাজপুত সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকেও পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ধিরাজবা মহাপ্রতাপসিংহ বাঘেলা নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গতকাল রাতে কয়েকজন দলিত তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বহুমূল্য জিনিস লুঠ করেছে। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো পক্ষের কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
সূত্র: এবিপি আনন্দ, ডিএনএ ইন্ডিয়া
ভারতে দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা
নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৩ মে, ২০১৮
ভারতের গুজরাট রাজ্যের রাজকোটে কারখানার মালিকের নির্দেশে এক দলিত যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। দলিত নেতা জিগনেশ মেওয়ানি ওই ভিডিওটি টুইটারে শেয়ার করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুজরাটে দলিতদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
গুজরাটের কংগ্রেস সভাপতি অমিত চাভদা প্রথম ওই ভিডিওটি শেয়ার করেন। তিনি এক টুইটে লিখেছেন, কারখানার বর্জ্য সংগ্রহ করে মুকেশ বনিয়া নামে এই দলিত যুবক। তাকে চোর সন্দেহে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মুকেশের স্ত্রীকেও মারধর করা হয়েছে। তিনি এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। কারখানারই তিন কর্মী এই মারধরের ঘটনায় জড়িত বলে জানা গেছে।
ভিডিওটিতে দেখা গেছে, দলিত এক যুবককে কারখানার গেটে বেঁধে রেখেছেন একজন। অন্য একজন লাঠি দিয়ে মারছেন। পরে আরো একজন লাঠি দিয়ে তাকে মারধর করে। মুকেশ বনিয়া নামে ওই দলিত যুবক মার খেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তারপরেই ভিডিওটি শেয়ার করে জিগনেশ মেওয়ানি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, এই ভিডিওই বলে দিচ্ছে গুজরাটে দলিতরা কতটা নিরাপদ।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা