২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ড্রোন হামলা ও মানবাধিকার সাংঘর্ষিক নয় কি?

-

পৃথিবীর উন্নত রাষ্ট্রের বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে যতটুকু না সচেষ্ট ও সোচ্চার তার চেয়ে অধিক সচেষ্ট ও সোচ্চার দেখা যায় পরদেশে মানবাধিকার রক্ষায়। তাদের এ নীতিটি উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কাছে প্রহসন মনে হলেও প্রবল পরাক্রমশালী বিধায় তাদের যেকোনো ধরনের আগ্রাসী অভিযানের প্রতিকূলে অবস্থান এসব দেশের জন্য কার্যকর ও ফলপ্রদ প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে পারেনি। বিশ্ববাসীর বিস্মৃতিতে যাওয়ার কথা নয়, গণবিধ্বংসী অস্ত্র মজুদের মিথ্যা অভিযোগ তুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী কিভাবে ইরাক আক্রমণের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল। অনুরূপভাবে যে যুক্তরাষ্ট্র অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে তালেবানদের মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত ইউনিয়নকে বিতাড়িত করেছিল, সে যুক্তরাষ্ট্রকেই পরে দেখা গেল যৌথবাহিনীর নেতৃত্বে তালেনবানদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে লিপ্ত হতে। যুক্তরাষ্ট্রের এ সব কাজ শুধু যে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন তা নয়, অধিকন্তু আন্তর্জাতিক আইনেরও নগ্ন উৎক্রমণ। গণতন্ত্রের সাথে মানবাধিকার নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক শাসনের অনুসারী হলেও বিগত শতক ও বর্তমান শতকে পৃথিবীর একাধিক রাষ্ট্রে শুধু নিজেদের অর্থনৈতিক স্বার্থে তারা রাজতন্ত্র ও সামরিক একনায়কতন্ত্র রক্ষা করে চলছে।

জঙ্গি, আলকায়দা ও তালেবান নির্মূলের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র বিগত এক দশক ধরে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, সিরিয়া, জর্দান, লেবানন, ইয়েমেনসহ আরও অনেক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রে কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই গোপনে একতরফাভাবে ড্রোন হামলা চালিয়ে মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন ও বিশ্ব বিবেককে উপেক্ষা এবং অবজ্ঞা করে চলছে।

স্বভাবতই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ড্রোন কী এবং কখন ও কী উদ্দেশ্যে এর ব্যবহার বৈধ বা আইনসিদ্ধ। অধুনা আমরা ড্রোন বলতে বুঝি চালকবিহীন উড়োযান। ইংরেজিতে ড্রোনকে বলা হয় টঅঠ অর্থাৎ টহসধহহবফ অৎরবষ ঠবযরপষব. ড্রোন সামরিক ও বেসামরিক উভয় উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ড্রোন যুদ্ধাস্ত্র সম্বলিত হয়ে থাকে। অপর দিকে অগ্নি নিয়ন্ত্রণ, পুলিশের পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম, বিরোধপূর্ণ রাষ্ট্রগুলোর সীমানা পর্যবেক্ষণ, বেসামরিক নিরাপত্তাকার্যক্রম যেমন গ্যাস বা তেলের পাইপলাইন পর্যবেক্ষণ প্রভৃতিতে বেসামরিক ড্রোন ব্যবহৃত হয়।

ড্রোন চালানোর জন্য যানের অভ্যন্তরে চালক হিসেবে কোনো মানুষ থাকে না। যানের মধ্যস্থ কম্পিউটারের সাহায্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অথবা ভূমিতে অবস্থানরত পাইলটের রিমোট কন্ট্রোল অথবা অন্য কোনো স্থানে অবস্থানরত পাইলটের রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ড্রোনের যাত্রা ও গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যে সব অভিযান মানুষ চালিত যানের জন্য খুব অনুজ্জ্বল, নোংরা ও বিপজ্জনক সেগুলোতে চালকবিহীন যানকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। ড্রোন সামরিক ও বেসামরিক যান সংশ্লেষে ব্যবহারের বহু আগে থেকে এ শব্দটি মৌমাছি, বল্লা ও পিঁপড়ার পুরুষপ্রধানকে বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে।

মনুষ্যবিহীন ড্রোনে ক্যামেরা থাকে। এ ক্যামেরার মাধ্যমে গৃহীত ভিডিওচিত্র ভূমি থেকে বিমান নিয়ন্ত্রণকারী অপারেটরের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। আকাশসীমায় পর্যবেক্ষণ চালানো, নিজ দেশের আকাশসীমা পাহারা দেয়া, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, শত্রুদের বেতার ও রেডিও সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটানো, আড়ি পেতে তথ্য জোগাড় করা থেকে শুরু করে প্রয়োজনে আরও ব্যাপক ভূমিকা পালন করতে পারে পাইলটহীন এ বিমান। পাইলটের মৃত্যুঝুঁকি না থাকায় যে কোনো পরিস্থিতিতে এ বিমান ব্যবহার করা যায়।

মধ্যপ্রাচ্যের ১৯৭৩ সালে ‘ওম কিপ্পোর’ যুদ্ধে মিসর ও সিরিয়া সোভিয়েত রাশিয়া নির্মিত ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য মিসাইল ব্যবহার করে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করলে ইসরাইল সামরিক উদ্দেশ্যে চালকবিহীন ড্রোন ব্যবহার করে আশাব্যঞ্জক সফলতা পায়। ১৯৮২ সালে লেবানন যুদ্ধে চালকবিহীন ড্রোন ব্যবহার করে ইসরাইল যুদ্ধের প্রারম্ভেই সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এ যুদ্ধে ইসরাইলের কোনো বিমান ভূপাতিতের ঘটনা ঘটেনি।

’৮০ ও ’৯০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্র উন্নত প্রযুক্তিসমৃদ্ধ ড্রোন উদ্ভাবনে সমর্থ হয়। বিগত বছরের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ন্যূনপক্ষে ৫০টির মতো দেশ সামরিক ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে ড্রোন ব্যবহার করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইসরাইলের পাশাপাশি ইরান ও চীনসহ বিশ্বের প্রায় ২০টি দেশ নিজস্ব প্রযুক্তিতে অভিনব ড্রোন উদ্ভাবনে সক্ষম হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ড্রোন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। ছাত্রদের দাবি এ ড্রোন দিয়ে সীমানা পাহারা ও তাৎক্ষণিক উপর থেকে ছবি তোলা সম্ভব হবে। তা ছাড়া আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী এটি ব্যবহার করে নিরাপত্তাসংক্রান্ত কাজ করতে পারবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এটি ব্যবহার করে দেশের যেকোনো স্থান পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। রেলে যেভাবে নাশকতা বাড়ছে তাতে রেলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ড্রোন দিয়ে রেললাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে। অর্থাৎ রেললাইনের পাহারার কাজ করবে ড্রোন।

২০০৪ সালের পর যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে উপজাতি নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় সন্ত্রাস নির্মূলের কথা বলে কয়েকশত ড্রোন হামলা চালিয়ে সহস্রাধিকের কাছাকাছি ব্যক্তির নিহত হওয়ার কারণ ঘটিয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়ে আসছিল নিহতদের সবাই জঙ্গি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত; কিন্তু তথ্যনির্ভর অনুসন্ধান সূত্র থেকেত জানা যায়, নিহতদের বেশির ভাগই নিরীহ সাধারণ নাগরিক, যারা মূলত কৃষিজীবী এবং এদের মধ্যে নারী ও শিশুরা রয়েছে। এমনও দেখা গেছে, প্রত্যুষে ফসলের মাঠে কাজ করাকালীন ড্রোন হামলার শিকার হয়ে করুণ ও মর্মান্তিক মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।

পাকিস্তানের উচ্চাদালত ড্রোন হামলাকে অবৈধ, অমানবিক এবং জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বললেও পাকিস্তানে অদ্যাবধি কিভাবে ড্রোন হামলা অব্যাহত আছে সে বিষয়টি রহস্যজনক। পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরনের সরকার কৌশলগত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল এবং একদিকে যখন তাদের দেশের আদালতের অবস্থান ড্রোন হামলার বিপক্ষে, ঠিক তখন দেখা গেল পাকিস্তানের অভ্যন্তরের সামসি বিমান ঘাঁটি থেকে ড্রোন হামলা চালানো হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিরেকে নিজ দেশের বিমান ঘাঁটি থেকে নিজ দেশে ড্রোন হামলা চালানো কী সম্ভব? পাকিস্তানের আদালত ড্রোন হামলাকে ভূ-খণ্ডের অখণ্ডতা লঙ্ঘন ও সন্ত্রাস নির্মূলে ক্ষতিকর উল্লেখ করলেও দেখা যায় কোনো এক অজানা কারণে এখনো ড্রোন হামলায় ছেদ পড়েনি। পাকিস্তানসহ পৃথিবীর অন্যান্য যেসব রাষ্ট্রে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, সেসব হামলাকে পৃথিবীর বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠী মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে দেখলেও তাতে মার্কিন প্রশাসনের কোনো ধরনের ভ্রূক্ষেপ নেই। বরং তারা উল্টো দাবি করছে আক্রমণপদ্ধতি নির্দিষ্ট ও ফলদায়ক এবং এ কারণে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এ কথা বলার অবকাশ নেই।

আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধবিষয়ক জেনেভা কনভেনশনের অনুসৃত বিধান অনুযায়ী দুই বা ততোধিক রাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়ার কারণে যুদ্ধে বিজড়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে তা অবশ্যই প্রকাশ্য ঘোষণার মাধ্যমে হতে হবে। আমাদের এ উপমহাদেশে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে এবং পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধসহ বিবদমান রাষ্ট্রের মধ্যে যেসব যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে এর বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে প্রকাশ্য ঘোষণা অথবা আক্রমণের অব্যবহিত পর যুদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

ড্রোন হামলা কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই গোপনে ও চুপিসারে অন্যের আকাশসীমা লঙ্ঘনপূর্বক আক্রমণ। এ হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দাবি করা তথাকথিত নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর চেয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে বেসামরিক লোক যে বেশি নিহত হয়েছে, এ বিষয়টি আজ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠীর কাছে অজানা নয়।

পৃথিবীর যেকোনো দেশে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী থেকে থাকলে এবং তা সংশ্লিষ্ট দেশ বা অপর কোনো দেশের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে থাকলে তাদের নির্মূলের দায়িত্ব একান্তভাবেই সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দেশ জঙ্গি বা সন্ত্রাস নির্মূলে ব্যর্থ হলে সে দেশের বৈধ সরকারের আমন্ত্রণে অপর কোনো দেশ জঙ্গি বা সন্ত্রাস নির্মূল কার্যক্রমে সে দেশকে সহায়তা করতে পারে; কিন্তু তথাকথিত জঙ্গি বা সন্ত্রাস নির্মূলের নামে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেসব ড্রোন হামলা পরিচালিত হচ্ছে তা আক্রান্ত দেশগুলোর সরকারের যথাযথ অনুমতি নিয়ে পরিচালনা করা হয়েছে- এমন দাবির সপক্ষে দালিলিক প্রমাণ দেখানোর যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত আক্রমণকারী রাষ্ট্রের হাতে আছে কি?

বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, রাস্তাঘাট, শপিংমল, রেলস্টেশন, বিমানবন্দর প্রভৃতিতে প্রায়ই বন্দুকধারীদের অতর্কিত ও আকস্মিক হামলায় নারী-পুরুষ ও শিশুদের সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এসব হামলার সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা যদিও সন্ত্রাসী বা জঙ্গি; কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশের অভ্যন্তরে নিজ নাগরিকদের দিকে পরিচালিত এ সব হামলাকে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হামলা হিসেবে আখ্যায়িত করতে অনীহ। তারা এ ধরনের প্রতিটি হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখছে, যদিও এ ধরনের হামলাসহ হামলায় নিহতের সংখ্যাক্রম ঊর্ধ্বমুখী।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী হামলা বিষয়ে অবশ্যই তাদের উপলব্ধিতে আসা প্রয়োজন, যে দেশ নিজ দেশের ভূ-খণ্ডে দেশের নাগরিকদের নিরাপদে অবস্থান নিশ্চিত করতে পারে না সে দেশ কী করে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী নির্মূলের কাল্পনিক অভিযোগে অন্য দেশের আকাশসীমায় প্রবেশ করে ড্রোন হামলা চালিয়ে কথিত জঙ্গি বা সন্ত্রাসী নির্মূলের প্রয়াস নিচ্ছে। এ ধরনের কাজ আন্তঃরাষ্ট্রীয় যুদ্ধের সংজ্ঞানুযায়ী কাপুরুষোচিত এবং ভীরুর কাজ। এটি অনেকটা পেছন দিক দিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত বা নিহত করার সমতুল্য। আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারসংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী আগ্রাসী আক্রমণের কারণে যেকোনো বেসামরিক মৃত্যুর দায় আক্রমণকারী রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। আর এ ক্ষেত্রে যদিও ক্ষতিপূরণ দিয়ে মৃত্যু পরিমাপ্য নয়; কিন্তু কয়টি ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছে এর হিসাব কেউ কি রেখেছে? রাখেনি বলেই তো বিশ্ববিবেকের কাছে আজ যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত মানবাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার প্রশ্নবিদ্ধ।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com


আরো সংবাদ



premium cement