২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

দালাই লামার ‘ইউ টার্ন’

দালাই লামার ‘ইউ টার্ন’ - ছবি : সংগ্রহ

নান্দনিক সৌন্দর্য ও অবস্থানের কারণে তিব্বতকে ‘পৃথিবীর ছাদ’ বলা হয়। চীন সরকারের হিসাব মতে, তিব্বতের জনসংখ্যা ৩.২০ মিলিয়ন। আয়তন ৪,৭১,৭০০ বর্গমাইল। মূল ভাষা তিব্বতি ও চীনা এবং মূল ধর্ম বৌদ্ধধর্ম। তিব্বতের প্রধান রফতানিসামগ্রী হস্তশিল্পজাত দ্রব্যাদি, কৃষি ও পশুসম্পদ। পুরনো তিব্বতের কিছু অংশ পাশের আরেক প্রদেশের সাথে সংযুক্ত। ১৯৫৯ সালে কমিউনিস্ট চীনা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা, ১৪তম দালাই লামা অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। অতঃপর ভারতে পলায়ন করে সেখানে ধর্মশালায় প্রবাসী সরকার গঠন করেন। ১৯৬০-১৯৭০ এর দশকে চীনের ‘সাংস্কৃতিক’ বিপ্লবের সময় বহু মঠ ও আশ্রম ধ্বংস এবং হাজার হাজার তিব্বতিকে হত্যা করা হয় মর্মে পাশ্চাত্য অভিযোগ করে আসছে। এদিকে, তিব্বতের আরো বেশি স্বায়ত্তশাসনের জন্য দালাই লামা চীনাদের সাথে দর কষাকষি করে আসছেন। বেইজিং পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে, তিব্বত চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এ দাবিতে তারা সদা অনড় থাকবে। হুঁশিয়ারি দেয়া হয়, প্রয়োজনে দালাই লামাকে ‘দেশদ্রোহিতা’র অপরাধে বিচার করা হবে। দালাই লামা যেন কিংবদন্তির এক বিমূর্ত চিত্র। তবে গত মাসে মহিলা দালাই লামা নিয়োগ নিয়ে তার মন্তব্যে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন বেশ ক্ষিপ্ত।
লামা মঙ্গোল শব্দ, এর অর্থ ‘সাগর’ যা জ্ঞানের সাগরকে বোঝায়। বর্তমান লামা ১৪তম দালাই লামা। তিনি এক কঠিন পদ্ধতির মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে তিব্বতি বৌদ্ধদের দালাই লামা ও পাঞ্চেন লামা নির্বাচিত করবেন। পাঞ্চেন লামা দ্বিতীয় মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি। ‘লামা’ একজন শিক্ষকের মতো। সন্ন্যাসীদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু, সাধক বা সাধুমাকে লামা হিসেবে মনোনীত করা হয়। সাধারণ ব্যক্তি বা বিবাহিত ব্যক্তিও লামা হতে পারেন। যিনি লামা হবেন তাকে পূর্ববর্তী লামার পুনর্জন্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। একজন থাকেন কর্মাপা লামা, যিনি বৌদ্ধ ধর্মের কর্মক্রিয়া সম্পাদন করেন। বর্তমানে ১৭তম কর্মাপা আছেন।

দালাই লামারা প্রাচীন তিব্বতের ধর্মীয়, সামাজিক ও প্রশাসনিক গুরু। প্রাচীন তিব্বতি সমাজে দালাই লামাকে সাক্ষাৎ বৌদ্ধের প্রতিকৃতি মনে করা হতো। কালক্রমে দালাই লামারা সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে নিজেকে জড়িত করে ফেলেন এবং রাজনীতির ময়দানে পদচারণা শুরু করেন। চীনাদের অভিযোগ, দালাই লামারা রাজনীতির চর্চা করেও আধ্যাত্মিক গুরু সেজে জনসাধারণকে ধোঁকা দিয়ে আসছেন। চীন দালাই লামাকে একজন ‘ভণ্ড, প্রতারক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

চীন বলেছে, দালাই লামা কোনো ধর্মীয় নেতা নন বরং তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য লড়ছেন। তার এই কাজ রাষ্ট্রদ্রোহিতা। কেননা চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে তিনি তিব্বতকে পৃথক করতে চাইছেন। চীনা সংবাদপত্রগুলো অভিযোগ করেছে, দালাই লামা তিব্বতের স্বাধীনতার জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছেন। তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামীদের সাথেও দালাই লামার সংযোগ রয়েছে। বছর কয়েক আগে তিনি তাইওয়ান সফরে গিয়ে পাঁচ লাখ ডলার চাঁদা সংগ্রহ করেছেন। সেখানে দালাই লামার বক্তৃতা শোনার জন্য প্রতিদিন ২০ হাজার লোকের সমাগম হতো।

বর্তমান লামা উত্তর-পূর্ব তিব্বতের এক কৃষক পরিবারে ১৯৩৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন এবং দুই বছর পরই তাকে ১৩তম দালাই লামা থুবসেন গিয়াৎসুর পুনর্জন্মকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়। সে থেকে সন্ন্যাস জীবনযাপন এবং আরো বয়স্ক হওয়ার পর ধ্যান ও প্রার্থনা করে আসছেন। রাজনীতিবিদ হিসেবেও তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাত। ‘জ্বালাও পোড়াও’ নীতির পরিবর্তে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি আদায়ে বিশ্বাসী। অহিংস মতবাদের জন্য ১৯৮৯ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেছেন।
রাজনৈতিক কারণে তিনি তিব্বত ত্যাগ করে উত্তর ভারতের সীমান্তবর্তী ধর্মশালায় আশ্রয় নিয়ে প্রবাসী সরকার গঠন করেছেন। বুশ থেকে শুরু করে ওবামা, সব মার্কিন প্রশাসনই দালাই লামাকে সমর্থন দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসন চুপ করে আছেন। কেননা, দালাই লামার স্বাধীনতা আন্দোলনে এখন বিরাট ভাটা পড়েছে।

তিব্বতে বিভিন্ন স্থানে পতিতাবৃত্তি চলে আসছে। প্রশাসনের অগোচরে এই ব্যবসা চলে। চীনের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত দরিদ্র চীনারা এবং স্থানীয় তিব্বতিরা এই কাজে নিয়োজিত। পশ্চিমা মিডিয়া বিষয়টিকে এভাবে বলেছে, ‘রাতে যেসব বাড়িতে হালকা লাল রঙের বাতি জ্বলে, সেখানে যৌনকর্মীরা খদ্দরের অপেক্ষায় বসে থাকে। তবে পার্লার ও সেলুনের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি। এসব লাইসেন্সধারী সেলুন, পার্লার ও ম্যাসেজ সেন্টারও পতিতাদের আশ্রয়স্থল।’ লন্ডনভিত্তিক ‘তিব্বত মুক্ত করো প্রচার সংস্থা’ জানায়, রাজধানী লাসায় কমপক্ষে এক হাজার পতিতালয় রয়েছে। এগুলো চালু থাকার কারণ তিব্বতে প্রচুর পর্যটকের আনাগোনা। তথ্য নেটওয়ার্ক থেকে জানা যায়, চীনা হান উপজাতীয় গোষ্ঠীর লোকজন বেশি তিব্বতে। পাশের সিচুয়ান প্রদেশ থেকে ৬০ শতাংশ এখানে এসেছে। তিব্বতে সুন্দরী প্রতিযোগিতাও হচ্ছে। তবে রক্ষণশীল বৌদ্ধরা এই প্রতিযোগিতা অনুমোদন করেন না। মহিলাদের দেহ প্রদর্শন বৌদ্ধ সংস্কৃতি ও ধর্মে নিষিদ্ধ বলে তিব্বতি নেতা থুপেন সম্পেন জানান। ওই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা দুই হাজার ২০০ ডলার পেয়ে থাকেন। দালাই লামা এই প্রতিযোগিতার বিপক্ষে। প্রতিযোগিতা ‘ইন্ডিয়ান হিমালয়ান রিসোর্ট’ ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

সপ্তম শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্ম তিব্বতে প্রবেশ করে। অষ্টম শতাব্দীতে বৌদ্ধ ধর্মতত্ত্ব সেখানে প্রাধান্য পায়। তিব্বতের রাজা ত্রিজং দেতসেন ভারত থেকে বৌদ্ধ মতবাদ তিব্বতে এনেছেন। তিব্বতি বৌদ্ধদের গুরু হলেন দালাই লামা। তিব্বতের বহুপ্রাচীন ধর্মমত ‘বুন’ থেকেও আচার-অনুষ্ঠান বৌদ্ধ সমাজে এসেছে। তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের মূল বৈশিষ্ট্য হলোÑ (ক) শিক্ষককে লামা বলা, (খ) মৃত্যু ও জীবনের সম্পর্কের জীবনাচার, (গ) প্রতীকের বহুল ব্যবহার, (ঘ) যজ্ঞ ও অনুষ্ঠানের প্রাধান্য, (ঙ) প্রাচীন তিব্বতি বিশ্বাসের প্রাধান্য, (চ) মন্ত্র ও ধ্যানের অনুশীলন। তিব্বতি বৌদ্ধরা চারটি দলে বিভক্ত, চতুর্থ উপভাগের নাম জিলুগাপা মতবাদ। এই মতবাদে দালাই লামা প্রধান ধর্মগুরু। তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মে তান্ত্রিক বিষয়াদি রয়েছে, রয়েছে জটিল যজ্ঞ এবং ক্রিয়াকর্ম। ভারত থেকেও তন্ত্রমন্ত্র তিব্বতি বৌদ্ধ সমাজে প্রবেশ করেছে। আধ্যাত্মিক কলাকৌশল হলো মন্ত্র, মান্দালা (মহাবিশ্বের কাল্পনিক ছবি) ও যোগসাধনা। জানা যায়, উঁচু দরের যোগসাধকেরা শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তপ্রবাহের ওপর প্রভাব ফেলতে পারেন।

এতসব সত্ত্বেও ষষ্ঠ দালাই লামা সাইঙ্গং ইয়াৎসুর নানাবিধ যৌন কীর্তি কাহিনী জনসমাজে ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বৌদ্ধ আশ্রমের নিয়মনীতি না মেনে মেয়েদের উদ্দাম ভালোবাসা ও পানীয়ের জন্য লালায়িত ছিলেন। তিনি ‘মূর্খদের মতো’ পোশাক পরিধান করতেন, লম্বা চুল ও নীল লম্বা কোর্তা পরতেন এবং রাতে মাতাল হয়ে বেশ্যাপাড়ায় ঘুরতেন। তিনি যৌন উত্তেজক প্রচুর কবিতা লিখতেন। হৃদয়ের যন্ত্রণা ও আনন্দের ওপর কবিতা লিখেছেন। পল উইলিয়াম সে কবিতার গুচ্ছ ইংরেজিতে অনুবাদ করে হইচই বাধিয়ে দেন। জানা যায়, তিনি পোটালা প্রাসাদে তীরন্দাজি করতেন এবং বিকেলে লাসা ও সোল শহরে ঘুরতেন। যে সব সরাইখানা হলুদ রঙ করা ছিল, সেগুলোতে সাইঙ্গ্যং লামা তার প্রিয়াদের সাথে মিলিত হতেন।

তবে এসব আচরণে তিব্বতি বৌদ্ধদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছিল। পঞ্চম দালাই লামা পুনর্জন্ম নিয়ে ষষ্ঠ দালাই লামা হয়েছেন- তিব্বতি বৌদ্ধদের এই বিশ্বাসের ভিত্তিতে নাড়া পড়ে যায়। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি মারা যান ও অন্তর্ধান হন। সন্দেহ করা হয় যে, তাকে হত্যার পর গোপন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। হঠাৎ শূন্যতার কারণে মঙ্গোলিয়া ও চীন অভিযান পরিচালনা করে এবং তখন থেকেই চীন তিব্বতকে নিজ ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে। পরবর্তীকালে ১৯৫০ সালে কমিনিস্ট চীন তিব্বত আক্রমণ করে। ১৯৬০-৭০ সালে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় সন্ন্যাসীদের মঠগুলো বিনষ্ট হয়। চীন এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ১৯৮০ সালে তিব্বতে ‘খোলা দরজা’ নীতি গ্রহণের ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায় ও কর্মসংস্থান বাড়ে।

চীনের বিশেষ উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে চীন থেকে লাসা পর্যন্ত রেললাইন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০০৬ সালে রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়ে তিব্বতের ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনধারা পাল্টে দিয়েছে। তিব্বত কৃষির ওপর নির্ভরশীল, খনিজ পদার্থও রয়েছে প্রচুর। পর্যটনের মাধ্যমেও রাজস্ব আয় হয় যা উল্লেখ করার মতো। গ্রামে বিদ্যুতের জন্য সৌর চুল্লি সরবরাহ করা হয়েছে। চীনা পত্রপত্রিকার জরিপে দেখা যায়- তিব্বতিরা এখন চীনাদের সহায়তায় চীনের অংশ হিসেবে সুখী ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করতে চায়।

দালাই লামাকে সমর্থন করে চীনের বিরুদ্ধে নরওয়ে থেকে তিব্বতি ভাষায় ‘ভয়েস অব তিব্বত’ নামে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ফ্রি এশিয়া নামে শর্টওয়েভ সম্প্রচার চলছে বহুদিন থেকে। ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র দালাই লামাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতাব দিয়েছে। আমেরিকান কংগ্রেস প্রদান করেছে স্বর্ণপদক। প্রেসিডেন্ট বুশ এই পদক দিয়েছেন। চীন অভিযোগ করেছে, স্বাধীনতার জন্য স্বায়ত্তশাসনের নামে দালাই লামা আন্দোলন করছে এবং যুক্তরাষ্ট্র তাকে সহায়তা করছে। এই নিয়ে অনেক বার লামার অনুসারী ও স্থানীয় তিব্বতিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ভিক্ষুরা রাজপথে নেমে এলে পুলিশের সাথেও সংঘর্ষ হয়েছে। চীন ভিক্ষুদের ব্যবহার করে সহিংস আক্রমণের জন্য দালাই লামাকে দায়ী করেছে।

চলতি মাসে বেফাঁস মন্তব্য করে দালাই লামা চাপে রয়েছেন। এক মহিলা সাংবাদিককে ‘যৌনতাপূর্ণ’ মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। এর আগে ১৯৯২ সালে ভোগ পত্রিকার সম্পাদক মহিলা দালাই লামার সম্ভাবনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তিনি জবাবে বলেছিলেন, ‘অবশ্যই তেমন হলে ভালোই হয়। তবে তাকে সুন্দরী হতে হবে।’ ২০১৪ সালে ল্যরি কিংয়ের সাথে সাক্ষাৎকারে দালাই লামা স্মরণ করেন, ১৯৯২ সালে এ বিষয়ে কী মন্তব্য করেছিলেন এবং জানান একজন ‘অসুন্দর’ রমণী তার কাছে বিরক্তিকর মনে হয়। ২০১৫ সালে বিবিসিতে তিনি বলেন ‘মহিলা দালাই লামা যদি সুন্দরী না হন, কোনো কাজে আসবে না।’ সর্বশেষ, চলতি বছরে তিনি আবার ওই ধরনের কথা বললেন। তার কথা, ‘ভবিষ্যতের মহিলা দালাই লামা যদি আকর্ষণীয়া না হন লোকজন তাকাবে না।’ মোট কথা, তিনি একজন অসুন্দর মহিলাকে তার উত্তরসূরি করতে নারাজ। অনেকেই বলেছেন, দালাই লামা রসিকতা করে এসব বলে থাকেন। তিনি সদালাপী ও সবসময় হাস্যরস পরিবেশন করতে ভালোবাসেন। ভারতে টিভি শোতে তিনি একবার বলেছিলেন, জীবনের অনেক দিন ভারতে কাটিয়েছি, তাই আমি অর্ধেক তিব্বতি, অর্ধেক ভারতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার কথার তীব্র প্রতিবাদ হতে থাকলে তার অফিস থেকে ক্ষমা চাওয়া হয়, ‘তিনি খুবই দুঃখিত যে, তার কথায় অনেকেই আহত হয়েছেন। তিনি সবার কাছে আন্তরিক ক্ষমা চাচ্ছেন।’ মাত্র দুই বছর আগে আধ্যাত্মিক নেতা নোবেলজয়ী দালাই লামা তিব্বতের দীর্ঘ দিনের স্বাধীনতার দাবি ত্যাগ করে চীনের অধীনে থাকার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা চাই না... আমরা চীনের সাথে থাকতে চাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘অতীত অতীতই। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই।’
লেখক : অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব,
বাংলাদেশ সরকার ও গ্রন্থকার


আরো সংবাদ



premium cement