২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

গাজীপুর হবে টার্নিং পয়েন্ট

গাজীপুর হবে টার্নিং পয়েন্ট - ছবি : নয়া দিগন্ত

বিরোধ মতপার্থক্য নিষ্পত্তিতে পৌঁছতে হলে সমঝোতা সংলাপ সব পর্যায়ে বিশেষ প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশে বর্তমান অবস্থায় সম্মুখ নির্বাচনের কারণে যেসব বিষয়ে মতপার্থক্য বিরোধ রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে, তা দূর হওয়া প্রয়োজন। আর সে কারণেই সমঝোতায় পৌঁছতে সংলাপ জরুরি। এই জরুরি বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, বলা যায় এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। অবশ্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অনেক আগেই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যে দূরত্ব সরকার পক্ষের সাথে তৈরি হয়ে আছে, তা নিরসনের জন্য একটি জাতীয় সংলাপের কথা বলেছে। কিন্তু ক্ষমতাসীনেরা বিরোধী দলের এই দাবি কোনোভাবেই গ্রাহ্য করছে না। বিরোধী দলগুলোর এই দাবি বাস্তবায়িত হলে তথা অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হলে তাতে দেশের সব মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পূর্ণতা লাভ করবে। এই সংলাপের উদ্দেশ্য কোনো একক দলের স্বার্থ সংরক্ষণ নয়, বরং দেশবাসীর গণতান্ত্রিক স্বার্থ সংরক্ষণ হবে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সম্মান-মর্যাদা বাড়বে। এমন নির্বাচনে যারা ক্ষমতায় আসবে, তারা শান্তি-শৃঙ্খলার মধ্যে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ পাবে। আর রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায় জনমতের প্রতিফলন ঘটবে।

বাংলাদেশের জন্মের মুখ্য যে কারণগুলো ছিল তার অন্যতম একটি হচ্ছে- জনগণের রায় ভূলুণ্ঠিত হওয়া। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে, সেই বাংলাদেশের গণতন্ত্র বিজয়ী হতে পারেনি, এ দেশে নির্বাচনের ইতিহাস মসিলিপ্ত। ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেমন দোষমুক্ত ছিল না, তেমনি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল প্রহসনমূলক। এই প্রেক্ষাপটে আগামী সংসদ নির্বাচনের দিকে গোটা জাতি ও আন্তর্জাতিক সমাজ তাকিয়ে আছে, তার স্বরূপ কেমন হয়। আগামী নির্বাচন সে কারণে সবার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উপস্থিত হবে। নির্বাচনের বড় একটি বিষয় হচ্ছেÑ কেমন পরিবেশে ভোটারেরা ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে। ভোটের সময় নির্বাচনী প্রচারণায় সব দল সমান সমতল ভূমি পাবে কি না। বাংলাদেশে নির্বাচনে বড় একটি সমস্যা হলো, ভোট গ্রহণকালীন সময় অনুকূল পরিবেশ তথা শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকা। সংবিধান অনুযায়ী ভোটগ্রহণের সময় উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সমসময় মনোযোগী দেখা যায়নি, এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতা সীমাহীন। দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পেশিশক্তি। তাতে জনগণের পক্ষে ভোট প্রয়োগের সুযোগ হয়নি। এমন ভোট হওয়ায় বিজয়ী হয়েছে পেশিশক্তি আর হেরে গেছে জনগণ। এবার নির্বাচনে অন্যতম আলোচনার বিষয় হচ্ছে স্বাভাবিক পরিবেশ রাখা, যাতে ভোট সুষ্ঠু হয়। এজন্য সেনা মোতায়েনের দাবি রয়েছে বিরোধী দলে। অতীতের অভিজ্ঞতা হচ্ছে- সেনা মোতায়েন হলে নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক থাকে। নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিকের যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তাতে তারা এ ব্যাপারে নারাজি নয়। নির্বাচন কমিশনের এই মনোভাবের পেছনে সরকারের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার পরই কমিশন এটা বলতে পেরেছে বলে ধারণা। নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকার ব্যাপারে দেশের ভেতরে দাবির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমাজের চাপ রয়েছে বলে পর্যবেক্ষকেরা ধারণা করছে। সেনা মোতায়েনের বিষয় নিয়ে পত্রপত্রিকায় ব্যাপক আলোচনা অতীতে হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে।

প্রশ্নমুক্ত নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ যেমন জরুরি, তেমনি নির্বাচনের সময় কারা সরকারে থাকবেন সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি দল ছাড়া অন্য আর প্রায় সব দল ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের অধীনে নির্বাচন না করার বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। অবশ্য বর্তমান সরকারি দল আওয়ামী লীগ বিরোধী দলগুলোর এই দাবি অগ্রাহ্য করেছে। গণতান্ত্রিক দৃষ্টিতে যদি দুই পক্ষের অবস্থানকে বিচার করতে হয়, তবে সংখ্যাগরিষ্ঠের মতকে প্রাধান্য দিতে হবে। আর তা ছাড়া বাংলাদেশে এ যাবৎ ক্ষমতাসীনদের অধীনে যতবার নির্বাচন হয়েছে, তার একবারও নির্বাচন অবাধ নিরপেক্ষ হয়নি। নির্বাচনে ক্ষমতাসীনেরা প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনী ফলাফল তাদের অনুকূলে নিয়ে গেছে। পক্ষান্তরে যতবার নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে সেসব নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। নির্বাচন নিরপেক্ষ করার ব্যাপারে কারো কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। তাই যেভাবে ভালো নির্বাচন হতে পারে সবারই সে পথে অগ্রসর হওয়া উচিত। এখন এই প্রশ্ন নিষ্পত্তির ব্যাপারে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা বৈঠক হওয়া প্রয়োজন। দেশের দলগুলো যদি দেশবাসীর কল্যাণে রাজনীতি করে থাকে, তবে সেই জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটিয়ে যে প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা যাওয়া যায়, তা অনুসরণ করাই শ্রেয়। ২০১৪ সালের মতো আর কোনো নির্বাচন যেন দেশে না হয় সেজন্য সব মহলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা থাকা উচিত। বর্তমান সরকার উন্নয়ন নিয়ে সোচ্চার এই বিষয়টি তাদের নির্বাচনে হবে প্রধান কথা। তাদের উন্নয়ন নিয়ে যদি তারা জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হবে, তবে তাদের সরকারে না থেকেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য সাহসী হওয়া উচিত। ২০১৪ সালের ভোট ছাড়াই বিজয়ী ঘোষিত হওয়ার মধ্যে তৃপ্তি নেই বরং শ্লাঘা আছে। নির্বাচন ছাড়া বিজয়ী হওয়ার আর কোনো উদাহরণ যাতে সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়টি ক্ষমতাসীনদের উপলব্ধি করতে হবে। আগামী নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক হতে না পারে, তবে তার দায় নিয়ে আওয়ামী লীগকে ভাবতে হবে। আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে আর দেশবাসী পরাজিত হবে এই পরিস্থিতি দেশের জনগণের সাথে সরকারের যে দূরত্ব এখন রয়েছে, তা আরো বাড়বে। তাতে দেশে অশান্তি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

আগামী নির্বাচনে যদি জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে না পারে, তবে দেশের মানুষ চরম হতাশায় নিমজ্জিত হবে। দেশবাসী যদি হতাশ হয় তবে রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে তাদের উৎসাহ আগ্রহ কমবে। সরকারের সাথে জনগণের সম্পর্ক যদি কমে যায়, তাতে খোদ সরকার দুর্বল হয়ে পড়বে, যে সরকারের সাথে জনগণ আস্থার সম্পর্ক বিনষ্ট হয়। এ সময় সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটে, সমাজবিরোধী শক্তির তৎপরতা বেড়ে যায়। ক্ষমতাসীনদের মধ্যে শক্তি ও প্রতিপত্তির প্রতিযোগিতা থেকে অন্তর্বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছবে যে, সরকার অসহায় বোধ করবে। দেশের মানুষের শান্তিভঙ্গের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমাজের কাছ বাংলাদেশ বিশৃঙ্খল দেশ হিসেবে পরিগণিত হবে এবং সম্মান ক্ষুণœ হবে। এমন বিশৃঙ্খল পরিবেশে দেশে অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বহির্বিশ্বের অপশক্তি হস্তক্ষেপ করার সুযোগ পাবে। এই অরাজক অবস্থায় দেশে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। বিনিয়োগ হবে না, নতুন করে কর্মের সৃষ্টি হবে না। দেশে বেকারত্ব বাড়লে জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে চূড়ান্ত স্বীকৃতি পাওয়ার যে সম্ভাবনা বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়েছে তা বিনষ্ট হবে না। সমাজবিরোধী শক্তির বিস্তার ঘটবে।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচন আগামী জাতীয় সংসদ ও অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে গ্রহণ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই জোট গুরুত্ব দিচ্ছে। গাজীপুরের মেয়র নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, গাজীপুরে খুলনার ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। তার এই বক্তব্যের মাধ্যমে দু’টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উঠে এসেছে। প্রথমত, কমিশন প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলো খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম হয়েছে। একই সাথে এটাও স্বীকৃতি পেল যে, খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে কমিশন অনিয়ম ঠেকাতে পারেনি। এটা তাদের ব্যর্থতা। সেখানে বিএনপি প্রার্থী নির্বাচনে সরকারি দলের প্রার্থীর সমান সুযোগ সুবিধা তো পাননি, সেই সাথে কমিশন তার অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। এখন গাজীপুরে কী হবে তা আমরা জানি না। কমিশন অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। কিন্তু এর ওপর শতভাগ আস্থা রাখার মতো উদাহরণ তো হাতে নেই। আগামীতে আরো তিনটি সিটির এবং জাতীয় নির্বাচন অপেক্ষা করছে। গাজীপুরের নির্বাচন বার্তা দিয়ে যাবে আগামী গণতন্ত্রের প্রাণ নির্বাচন কেমন হতে পারে। এখন গোটা জাতি প্রতীক্ষা করছে গাজীপুরকে নিয়ে। এ পর্যন্ত ছোটখাটো অনিয়ম ছাড়া প্রার্থীদের কেউই নিয়মকানুন ভঙ্গ করেননি। তবে কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের একটি সিদ্ধান্ত কমিশনকে বিতর্কিত করেছে। সে ঘোষণাটি হলো এমপিরা সরকারি দলের প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারবেন। পত্রপত্রিকায় নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে গবেষক এবং বিশেষজ্ঞরা সেই সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছিল। কিন্তু কমিশন তাদের সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করেনি।

এদিকে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, যা আগামী জাতীয় নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণার পরই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন এর আগে ঘোষণা করেছে যে, অক্টোবর মাসে নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হবে। মন্ত্রী আরো বলেছেন, আগামী অক্টোবর মাসে নির্বাচনকালীন সরকারের ঘোষণা আসার সম্ভাবনা বেশি। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার হবে ছোট। তবে বিষয়টি পুরোপুরি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। সংবিধান অনুসারে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা- এ কথাও মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। বিরোধী দল বস্তুত নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি তুলেছে, তবে তাদের দাবির যে সারবস্তু তার সাথে সেতুমন্ত্রীর নির্বাচনকালীন সরকারের ধারণার মিল নেই। বিরোধী দলের সুস্পষ্ট কথা দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে সে সরকার গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারবেন না। বিরোধী দলের সাথে সরকারি দলের এ প্রশ্নে মতপার্থক্যটা হচ্ছেÑ সরকার চাইছে বর্তমান সংসদে যে দলগুলো রয়েছে তাদের সমন্বয়েই নির্বাচনকালীন সরকার হবে। এখন যে সংসদ বহাল রয়েছে তার প্রায় সব সদস্যই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের সদস্য। তাদের নিয়ে সরকার হলে সেটা তো আর দলনিরপেক্ষ সরকার হয় না। বর্তমান সংসদে প্রকৃত বিরোধী দলের কোনো সদস্য নেই। এখন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে দুই পক্ষের দাবির মধ্যে বিরাট যে পার্থক্য রয়েছে, তার সুরাহা কেমন করে হবে। এজন্য যে সংলাপের প্রয়োজন, তার পরিবেশ তো বর্তমানে নেই।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে দেশ যে বড় সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে, তার সুরাহা কঠিন হলেও সেটা হতেই হবে। এ প্রশ্নে সব পক্ষকে কিছু ছাড় দিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তা না হলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সফল হবে না। আর তাতে দেশ এক চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। গত পাঁচ বছর এক অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে গেছে। এখন সামনে যদি একই অবস্থা বিরাজ করে তবে দেশ তো এক অন্ধকার ভবিষ্যৎ পানে এগিয়ে যাবে। এ বিষয় বিবেচনায় রেখে দলগুলোকে নিজেদের সঙ্কীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে। দেশবাসী নিশ্চয়ই এই আশা করে যে, জাতীয় নেতারা সবার মতোই দেশকে গভীরভাবে ভালোবাসেন, তাদের নিখাদ ভালোবাসার জোরে সামনের সব বিপত্তি তারা সফলভাবে মোকাবেলা করবেন।
ndiganta babar@gmail.com


আরো সংবাদ



premium cement