ক্রাইস্টচার্জে প্রত্যাশিত ব্যাটিং হবে তো!
- ক্রীড়া প্রতিবেদক
- ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০
বাংলাদেশ দলের নজর ছিল উইকেট পানেও। কেমন উইকেটে হচ্ছে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ এ আগ্রহ বাংলাদেশেরও। কারণ উইকেট যদি ব্যাটিং সহায়ক হয়, তাহলে ভালো একটা স্কোর সংগ্রহে সামর্থ্য হবে টিম বাংলাদেশ। আর যদি সলিড পেস অ্যান্ড বাউন্সি হয়, তাহলে সিরিজের উত্তেজনা এ ক্রাইস্টচার্জেই শেষ! কারণ অমন উইকেটে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনার সময় হয়নি বাংলাদেশের। এ জন্য নিউজিল্যান্ডে অন্তত আরো ১৫ দিন অনুশীলন করেই কেবল তখনই ওই চ্যালেঞ্জে যেতে পারবে!
তবে ক্রাইস্টচার্জের উইকেটের খবর এখানকার উইকেট অনেকটাই ব্যাটসম্যানদের আমন্ত্রণ করছে। দেখে শুনে খেললে এমন উইকেটে তিন শ’ রান করা অসম্ভব কিছু না। আসলে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ অল আউট হয়েছিল ২৩২ রানে। সঠিক মতো ব্যাটিংটা করলে, দায়িত্বশীলরা ঠিকমতো খেলতে পারলে ওই ম্যাচে অন্তত ২৮০-২৯০ রান হয়ে যায়। কিন্তু সেটা আর হলো কোথায়। গত ক’দিন ধরে আলোচনায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। কারণ স্কোর বোর্ডে রান না এলে লড়াই সম্ভবনা। বাংলাদেশে লো স্কোরিং ম্যাচেও লড়াই সম্ভব। সেটা স্পিনারদের ওপর নির্ভর করেই। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে তো আর এসব চিন্তাও করা যায় না। তাছাড়া সাকিব নেই স্কোয়াড। তার স্পিনটাও মিস করছে বাংলাদেশ। ফলে ভরসাটা ব্যাটিংয়ের ওপরই করতে হবে। ভালো একটা স্কোর সংগ্রহ করতে পারলে তার ওপর নির্ভর করে মুস্তাফিজ, মাশরাফিরা পারবেন কিছু একটা করতে। অবশ্য বাংলাদেশ বরাবরই সূচনাটা ভালো চায়। বিশেষ করে টপ অর্ডারে যদি বিগ একটা ইনিংস খেলে দিতে পারেন কেউ। তাহলে বিগ স্কোর চলে আসে। এটা নির্ভর করছে এখন তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকের ওপর। সাকিব থাকলে এখানে অ্যাড হতো। এখানেও সাকিবকে খুব মিস করছে বাংলাদেশ। অবশ্য তাই বলে অন্যদের পক্ষে কী বিগ স্কোর সম্ভব নয়? অবশ্যই আছে। লিটনের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার নজির রয়েছে। সৌম্য সরকারেরও আছে ওই যোগ্যতা। তামিম তো অতুলনীয়। এ ম্যাচে তামিমের ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে থাকবে সবাই। তামিম কিছু করে দিতে পারলে কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তামুক্ত।
বাংলাদেশ আসলে এখন খাদের কিনারায়। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর সিরিজে ১-০ তে লিড নিউজিল্যান্ড। তার অর্থ পরের দুই ম্যাচের একটিতে জিততে পারলেও সিরিজ তাদের পকেটে। তবে আপাতত সিরিজ সমতা আনার প্লান মাশরাফিদের। এরপর অন্য চিন্তা। তা ছাড়া নিউজিল্যান্ডকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতেও এখনো হারানো সম্ভব হয়নি। এ অসম্ভব কাজটা সম্ভব করে আত্মবিশ্বাসটা বাড়ানো বড্ড প্রয়োজন হয়ে গেছে। এটা একটা ভীতিও। এটা কাটানো খুবই জরুরি। বাংলাদেশ এখন অনেক দেশকেই তাদের মাটিতে হারিয়েছে। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের বেলায় সে বিষয়টা এখনো হয়নি। সিরিজ না পেলেও অন্তত একটা জয় পেলেও সেটাও বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের জন্য বড় আত্মবিশ্বাসের কারণ। বাংলাদেশ শুধু সিরিজ জিততে আসেনি, ম্যাচ খেলতেও না। এখানে বড় একটা টার্গেট মূলত বিশ্বকাপ। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে একটা ব্যালেন্ডস দল দাঁড় করানোর লক্ষ্য এ সিরিজটাও। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সে ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি। বিগ স্কোর করে। লড়াই করে ম্যাচ হারলেও সে বিষয়টা অনেক কাজ দেবে। কোচ স্টিভ রোডস সেখান থেকে অনেক নোট নিতে পারবেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো ম্যারম্যারে পারফরম্যান্স দিয়ে অসহায় আত্মসমার্পন মানে অর্থহীন। ক্রাইস্টচার্জের এ ম্যাচে এটা যাতে না হয় এ লক্ষ্যটা থাকবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা