৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ওয়ানডের অঘোষিত ফাইনাল আজ

অস্ট্রেলিয়া-ভারত
-

অঘোষিত ফাইনাল। দুই দলই জিততে চায়। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার সামনে শেষ সুযোগ টেস্ট ফরম্যাটে দীর্ঘ দিনের গৌরব বিসর্জনের যন্ত্রণা লাঘবের। সীমিত ওভারের সাফল্য আসন্ন বিশ্বকাপের যথার্থ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে দলটির ক্রিকেটারদের। লঙ্গার ভার্সনের দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ৫০ ওভারের লড়াইয়ে তাদের শুভ সূচনায় বিশ্লেষকদের অনেকেই বিস্মিত। দ্বিতীয় ম্যাচেই সত্যিকারের সামর্থ্যরে প্রমাণ দিয়েছে স্টিভেন্স স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার-হীন অস্ট্রেলিয়া। হারলেও তারা সহজে আত্মসমর্পণ করেনি। পর পর দুই ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ব্যাটিং ইউনিটের তিন শ’র কাছাকাছি সংগ্রহ ট্রফি নির্ধারণীতে বাড়তি স্নায়ুচাপের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় বোলিং অ্যাটাকের ওপর। তাদের ওপর চড়াও হওয়ার সুযোগ লুফে নেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করবে আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং ইউনিট। তবে টেস্ট ফরম্যাটে ঐতিহাসিক সাফল্যে উজ্জীবিত ভারত সবার ফেবারিট ওয়ানডের ট্রফি উৎসবে। আজ মেলবোর্নে সীমিত ওভারের সমাপ্তি দ্বৈরথ অঘোষিত ফাইনালে তারা মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার।
পরাজয় শুরুর পর সফরকারী ভারতের ওয়ানডের শিরোপা লড়াইয়ে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করেন দলনায়ক কোহলি। অ্যাডিলেড ওভালে তার ক্যারিয়ারের ৩৯তম শতক ভেস্তে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ১ খেলা হাতে রেখে ট্রফি উৎসবের প্রস্তুতি। চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ তাড়া করে জেতার বাড়তি প্রেরণা সফরকারী ক্রিকেটাররা মাঠের নৈপুণ্য প্রমাণে মুখিয়ে আছেন। দ্বিতীয় ওয়ানডে পারফরম্যান্সের সুযোগ একটি ইউনিট হিসেবেই লুফে নেয় তারকাসমৃদ্ধ ভারত। কোহলির দুর্দান্ত ইনিংসের পর ধোনি অপরাজিত থেকেই সমতা প্রতিষ্ঠার টার্গেটে সফলতার উৎসব করেন। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে মূলত লড়াই হবে ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ইউনিটের। এ ক্ষেত্রে খেলায় পার্থক্য গড়ে দেয়ার চিত্রনাট্যে উদ্ভাসিত হওয়ার সুযোগ থাকছে স্বাগতিক পেসারদের। মেলবোর্নের পিচের বাড়তি পেস ও বাউন্সের অ্যাডভান্টেজ কাজে লাগানোর অভিজ্ঞতায় ঢের এগিয়ে স্থানীয় বোলাররা। ভেনুর ইতিহাসও টনিক হবে তাদের উজ্জীবিত পারফরম্যান্সের প্রদর্শনীতে মেতে ওঠায়। ওয়ানডে ফরম্যাটে ২০০৮ সালের পর মেলবোর্নে সাফল্যহীন ভারত। হেরেছে শেষ তিনটিতেই।
এমসিজিতে সর্বমোট ১৪ ম্যাচের ৯টিতে তাদের পরাজয়ের অতীত ওয়ানডের ট্রফি-উৎসব স্বপ্নপূরণে আত্মবিশ্বাসী পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা অস্ট্রেলিয়া। টানা দুই ম্যাচে দলটির ব্যাটিং ইউনিটের বেশির ভাগ সদস্য প্রত্যাশিত পারফরম্যান্সে সক্ষম হয়েছেন। টেস্ট ফরম্যাটে ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুঃসময় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি শন মার্শের সীমিত ওভারের দুর্দান্ত ফর্মের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রাখায়। অ্যাডিলেডে চরম বিপর্যয়ের মধ্যে তিনি ব্যাট হাতে তুলে নেন সর্বশেষ ৮ ম্যাচের ক্যারিয়ারের চতুর্থ শতকে। মেলবোর্নের শিরোপা নির্ধারণীতে শন মার্শ বাড়তি ‘টেনশন’ হবেন ভারতীয় বোলিং ইউনিটের!

 


আরো সংবাদ



premium cement