তারুণ্য ও নতুন তারকার উত্থানে ফুটবলের মেগা আসরগুলো সর্বদা এক্স ফ্যাক্টর অবদান রেখেছে। ঐতিহাসিক ওই ধারাবাহিকতার সদ্য সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপেও অটুট রইল। টুর্নামেন্টের বিস্ময় বালক হিসেবেই উদ্ভাসিত হয়েছেন চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বাজির ঘোড়া কাইলিয়ান এমবাপ্পে। মোনাকোর জার্সিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের অভিষেকেই ইউরোপীয় কাব ফুটবলে ঝড় তোলেন উদিয়মান ফরাসি টিনএজার। ধারে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে তার সময় কেটেছে এডিনসন কাভানি ও নেইমারের ছায়ায় থেকে। কিন্তু ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে ঠিকই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন ফ্রান্সের নাম্বার টেন। রাতারাতিই বনে গেছেন সুপারস্টার। তাকে দলভুক্ত করতে বিত্তশালী কাবগুলোর মধ্যে একপ্রকার স্নায়ুযুদ্ধও শুরু হয়ে গেছে। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি ফ্রান্সের জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই। বিশ্বকাপের সেনসেশনের তরুণ ফুটবলারদের মধ্যে পারিশ্রমিকের শীর্ষস্থান দখলে মুখ্য অবদান রেখেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নেরা। ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারির পর জন্মগ্রহণকারী তরুণ তারকাদের মধ্যে আয়ে শীর্ষ ৩-এ থাকা ফুটবলারদের নিয়েই এ প্রতিবেদন :
গ্যাব্রিয়েল জেসুস
ম্যানসিটি (৮৮ মিলিয়ন ইউরো)
সদ্য-সমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে হতাশ করেছেন ব্রাজিলীয় সেনসেশন জেসুস। এর পরও তার মাঠের ফুটবলের বিপরীতে প্রাপ্তি পারিশ্রমিক দ্বিগুণ হয়েছে গত ১২ মাসে। কারণটাও স্বচ্ছ। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঘরোয়া ফুটবলের আসর প্রিমিয়ার লিগে তার গোল করার সক্ষমতা ইতোমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে ম্যানসিটির জার্সিতে। বর্তমান ইংলিশ চ্যাম্পিয়নের আসছে মওসুমের শিরোপা ধরে রাখার মিশনে পেপ গার্ডিওলার অন্যতম নির্ভরতা জেসুস।
মার্কোস রাশফোর্ড
ম্যানইউ (৮৯ দশমিক ২ মিলিয়ন ইউরো)
জেসুসের কার্বন-কপি হিসেবেই রাশান বিশ্বকাপ পাড়ি দিয়েছেন ম্যানইউর বিস্ময় বালক খ্যাত রাশফোর্ড। মূলত সাউথগেটের ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশে সুযোগ কমই জুটেছে ইংলিশ তরুণের। এ ক্ষেত্রে তার রাশান টুর্নামেন্ট মন্দ কাটেনি। বদলি হিসেবে মাঠে রাশফোর্ডের বল পায়ের ম্যাজিক অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বকাপের নৈপুণ্যে তাকে এগিয়ে দিয়েছে আসছে প্রিমিয়ার লিগ মওসুমে মরিনহোর ম্যানইউর প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ রেসে।
কাইলিয়ান এমবাপ্পে
প্যারিস সেন্ট জার্মেই (১৯৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন ইউরো)
ফিফার ২১তম বিশ্বকাপে বল পায়ের ম্যাজিক এমবাপ্পেকে তুলে এনেছে তরুণ্যে উজ্জীবিত ফুটবলারদের আয়ের শীর্ষস্থানে। ২০১৮ সালের মেগা আসরের শ্রেষ্ঠ উদীয়মান ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড জয়ী ফরাসি টিনএজার দুই নম্বর থেকে প্রথম স্থানে উঠে এসেছেন। যদিও বর্তমান আয়ের ফিগারেই সীমাবদ্ধ না-ও থাকতে পারে ১৯ বছর বয়সী ফ্রান্সের নম্বর টেন সুপারস্টারের আসন্ন ইউরোপীয় কাব মওসুম। ইতোমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর স্থলাভিষিক্ত হিসেবে এমবাপ্পেকে সান্তিয়াগো বার্নাবুতে উড়িয়ে আনার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদের। এ ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম বিত্তশালী কাবটি ট্রান্সফার ফি’র নতুন রেকর্ড গড়তেও প্রস্তুত। প্যারিস সেন্ট জার্মেই ছেড়ে নতুন ঠিকানা বেছে নেয়ায় এমবাপ্পেও আগ্রহী। কারণ তার মাঠের পজিশনের সাথে পুরোপুরিই মিল রয়েছে ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড গড়ে বার্সা থেকে প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে যোগ দেয়া ব্রাজিলীয় সেনসেশন নেইমারের!
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা