০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫
`


শো ক স ং বা দ

দোহার প্রিয়জন কবি হাসান মতিউর রহমান তোতার ইন্তেকাল

-

একজন স্বভাব কবি হিসেবে তিনি সুপরিচিত ছিলেন। কারণ তিনি তার চার পাশের প্রায় সবকিছু নিয়ে কবিতা লিখেছেন। আমরা তাকে ডাকতাম পরিশ্রমী কবি তোতা ভাই। সত্যিই তিনি কবিতার জন্য গেছেন বহুদূর, হেঁটেছেন বহুপথ। অনেকে তাকে দোহার নবাবগঞ্জের মাটি ও মানুষের কবি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। কারণ তার কবিতায় গ্রাম-নদী-মাটি ও মানুষের কথা ধরা দিয়েছে অত্যন্ত সাবলীলভাবে। কবি সামসুল করিম খানের বিয়োগব্যথায় তিনি লিখেছিলেন ‘হৃদয় ছিঁড়ে টিয়ে পাখি গেল চিরতরে/ করিম ভাই আসবে কি আর কোন দিন ফিরে / কথায় কথায় মুচকি হাসি মানুষ ছিল গরম/মানুষ বলতে তার ভিতরের মনটা ছিল নরম।’ এখন তার বিয়োগব্যথায় আমরা কাতর।
আপাদমস্তক একজন সরল ও সাদা মনের মানুষ তোতা ভাই আমাদের ছেড়ে ইহধাম ত্যাগ করে চলে গেলেন। একদিন যেতে হবে সবাইকে। কিন্তু তার সাহিত্যকর্মের মাঝে আমাদের যে মেসেজ দিয়ে গেছেন, তা আমাদের বহুদিন তাকে ভুলতে দেবে না। তিনি লিখেছেনÑ ‘মানুষ কি আর এমনি বড় মানুষ হয় রে ভাই/পরের তরে হিত করে তার তুলনা নাই।’ সত্যিই তিনি পরের তরে জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। সদা হাস্যোজ্জ্বল এ মানুষটি গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিরতরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তিনি এক ছেলে ও পাঁচ মেয়েসহ বেশ কয়েকজন নাতি ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। জীবদ্দশায় তিনি তিনটি বই প্রকাশ করেছেন। তা হলোÑ ‘ছাগলদিঘির চর’ ‘জোসনা রাতের তারা’ ও ‘বিমানবালা’। দোহার প্রিয়জন, জলকণা সাহিত্য পরিষদ, ইছামতি সাহিত্য পরিষদ, কবি সংসদ বাংলাদেশ’র অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি।
জলকণা সাহিত্য পরিষদের উদ্যোগে ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কবি হাসান মতিউর রহমান তোতার কর্মময় জীবনের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় দোহার-নবাবগঞ্জের সব কবির তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্যে একটি তথ্যবই প্রকাশেরও ঘোষণা আসে।
কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মোনাজাত ও কবর জিয়ারত করা হয়। এ সময় কবি হোসেন এন্তাজি, কবি গোলাম আবুল হোসেন, কবি ও সাহিত্যিক আবদুল মুহিত মৃধা দুলু, কবি শাহিদ উল ইসলাম, কবি রাজু ইসলাম, কবি সুজিত হালদার, কবি দিদারুল আহসান, সাংবাদিক শওকত আলী রতনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রাজু ইসলাম
দোহার প্রিয়জন

 


আরো সংবাদ



premium cement