৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
`


জমি থেকে পেঁয়াজ চুরির আশঙ্কায় রাতে পাহারা

- ফাইল ছবি

পেঁয়াজ যেন সোনার হরিণ। এরই মধ্যে চলনবিল অঞ্চলে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের ডাটি পেয়াজঁ (গাছ পেঁয়াজ)। কিন্তু সে পেঁয়াজ নিয়ে নতুন করে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। জমি থেকে পেঁয়াজ চুরির যাওয়ায় রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন তারা।

পেঁয়াজ চাষিরা জানায়, চলনবিল এলাকার তাড়াশ, গুরুদাসপুর ও চাটমোহর উপজেলার চর অঞ্চলে পেঁয়াজ চাষ হয়ে হয়ে থাকে।

এ বছর প্রতি কেজি গাছ পেঁয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন কৃষক। কিন্তু নতুন করে উপদ্রুপ শুরু হয় পেঁয়াজ চুরির।

তাড়াশ উপজেলার নাদোসৈয়দপুর, হেমনগর, চরহামকুড়িয়া, কাঁটাবাড়ি প্রভৃতি গ্রাম ঘুরে জানা যায়, পেঁয়াজ চুরি ঠেকাতে প্রতিটা জমিতে পাহারা বসানো হয়েছে। রাতের বেলায় আলো জ্বেলে পাহারা দেয়া হচ্ছে।

পার্শ্ববর্তী বামুনগাড়া গ্রামের পেঁয়াজ চাষি তফের আলী, নূরুল ইসলাম ও ধারাবারিষা গ্রামের কফিল উদ্দিন জানান, তাদের চাষকৃত জমির পেঁয়াজ কয়েক রাতে বেশ কয়েকবার চুরি হয়েছে। চুরি ঠেকাতে আমরা রাত জেগে জমি পাহারা দিচ্ছি।

নাদো সৈয়দপুর গ্রামের শারমিন খাতুন জানান, একটু চোখের আড়াল হলেই জমি থেকে চুরি হচ্ছে পেঁয়াজ। জমির পেঁয়াজ নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা।

ধামাইচ গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক আবু হাশিম খোকন জানান, পেঁয়াজ চুরির ঘটনা এ অঞ্চলে এখন মুখে মুখে আলোচিত।

দুর্মূল্যের বাজারে শুধু পেঁয়াজ নয়, পেঁয়াজের পাতা নিয়েও মানুষের মাঝে কাড়াকাড়ি করতে দেখা যাচ্ছে। অথচ অন্যান্য বছর গুলোতে এসব পেঁয়াজের পাতা জমির আইলে কৃষক এমনিতে ফেলে দিতো।


আরো সংবাদ



premium cement