দেশের অর্থনীতির ‘লাইফলাইন’ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প শেষ হয়েছে গত বছরের জুনে। প্রকল্পপত্রে বলা হয়েছিলÑ এই সড়ক ২০ বছর টেকসই হবে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়ক নির্মাণের এক বছর পার না হতেই সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভগ্নদশা। খানাখন্দে ভরে গেছে সড়ক। ফলে রণাবেণ ও পরিচর্যায় প্রায় হাজার কোটি টাকার নতুন প্রকল্প নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর রণাবেণের নতুন প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। প্রশ্ন হলো ২০ বছরের মেয়াদ যেখানে, পাঁচ বছরেই কেন নষ্ট হয়ে যাবে? নাকি ঠিকমতো কাজ করা হয়নি? সিমেন্ট, বালু, পাথর ও রড সঠিক পরিমাণে দেয়া হয়নি?
অভিযোগ উঠেছে, যথাযথ মান বজায় রেখে নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে আগেভাগেই এ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। অথচ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের বক্তব্য হচ্ছে, ‘প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত ভার বহনের ফলে সড়কের তি হচ্ছে, যা কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না। যে কারণে ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রকল্প এখন আবশ্যক হয়ে পড়েছে।’ কথা হচ্ছে, এই প্রকল্প প্রথমে তৈরি করার সময়ই কি রাস্তা দিয়ে কী পরিমাণ লোডের গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে তা দেখা হয়নি? নাকি নি¤œমানের কাজ দায়সারাভাবে করে আবার প্রকল্প নেয়া হচ্ছে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যার নামে। কোথাও যেন দুর্নীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
নতুন করে প্রকল্প নেয়া মানে, আগে যে কাজটি হয়েছে তা ঠিকভাবে হয়নি অথবা ভুল হয়েছে। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে যে ধরনের উপাদান যে পরিমাণে ব্যবহারের কথা, তা করা হয়নি কেন? সড়কের বর্ডার লাইনও আঁকাবাঁকা করে টানা হয়েছে। হয় এ প্রকল্পের ডিজাইনে ভুল ছিল, নতুবা নির্মাণে ত্রুটি ছিল ব্যাপক। মাত্রাতিরিক্ত ভার বহন বা এক্সেল লোডের বিষয়টি ডিজাইনের মধ্যে থাকার কথা। আর ডিজাইনের বাইরে ভার বহন করা হলে তা বন্ধ করতে হবে সাথে সাথে। অতিরিক্ত ভার বহনই যদি কারণ হয়, তাহলে নতুন প্রকল্প নিলেও সড়কের অবস্থার পরিবর্তন হবে না। এটা হবে, তলাবিহীন ঝুড়িতে মালপত্র রাখার মতো। ডিজাইন অনুযায়ী সড়কের মেয়াদ হয়। কিন্তু ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের বেলায় মেয়াদ কাজে আসছে না। সড়কের দুর্নীতি কমে আসতে হবে। সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহার করা হোক সঠিকভাবে এবং দুর্নীতিহীনভাবে।
Ñ শতাব্দী জুবায়ের
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা