০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ২৬ অক্টোবরর

ওবায়দুল কাদের - ছবি : সংগ্রহ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকালীন সরকারের আকার গত নির্বাচনকালীন সরকারের মতোই হবে। দু-একজন নতুন মুখ আসতে পারে। তখন যে সরকারটি হবে, সেটি হবে নিয়মিত সরকার। তবে আকার ছোট বড় হতে পারে। তিনি বলেন, আগামী ২৬ অক্টোবর আওয়ামী লীগের যৌথসভার পর নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সে দিন আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটি, উপদেষ্টা পরিষদ ও পার্লামেন্টারি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণায় কাউকেই বাধা দেয়া হবে না। সবাই সমান সুযোগ পাবেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের কোনো চাপ নেই। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা তাদের নিজস্ব নির্বাচনী এলাকায় গাড়িতে পতাকা ব্যবহার করতে পারবেন না, তবে নির্বাচনী এলাকার বাইরে পারবেন। নির্বাচনের সময়ে মন্ত্রীদের নিরাপত্তা আগের মতোই বহাল থাকবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, ২৬ অক্টোবরের পর তা প্রকাশ করা হবে।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের গ্রেফতার প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের নব্য নেতা হিসেবে নয়, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার ব্যক্তিগত অপরাধের জন্য। অপরাধ করে পার পেয়ে গেলে এ ধরনের আরো অপরাধ করতে পারে। তিনি বলেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তার পুনরাবৃত্তি রোধেই এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। মইনুল হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে মামলার কারণে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে তার সংশ্লিষ্টতা এখানে কোনো বিষয় নয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেখানে গ্রেফতার করাটাই জরুরি ছিল এবং পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো উদ্বেগ বা আশঙ্কা রয়েছে কি নাÑ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে কোনো উদ্বেগ বা শঙ্কা নেই। প্রধানমন্ত্রী তো স্বাগত জানিয়েছেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের আগে সংশোধনের সুযোগ নেই, আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়টি লক্ষ্য রাখব। সাংবাদিকদের জন্য এ আইন করা হয়নি। যদি আপনি কোনো অপরাধ না করেন, তাহলে ভয় কিসের?

ড. কামালের উদ্দেশ্য অপরাধীদের রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসন করা তথ্যমন্ত্রী
ময়মনসিংহ অফিস 
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন নয়, জঘন্য অপরাধী এবং সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসন করা। তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ও জঙ্গিদের প্রতিষ্ঠিত করতেই ঐক্যফ্রন্টের সৃষ্টি। মঙ্গলবার দুপুরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইনু বলেন, বিএনপি-জামায়াত, জঙ্গি, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক চক্রের সাথে খালেদা-তারেকের কি সমীকরণ, পারস্পরিক কী সম্পর্ক এবং তাদের সাথে কী আন্তঃসম্পর্ক সেটি সবাই জানে। সেই সমীকরণে আবদ্ধ বিএনপির সাথে ড. কামল হোসেনের এই ঐক্য নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য ঐক্য না। তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেন দুধের শিশু নয়। তথ্যমন্ত্রী ড. কামালকে উপহাস করে বলেন, ‘জলে নামব, সাঁতার কাটব, কিন্তু চুল ভেজাব না’, তেমনি বিএনপির খোঁয়াড়ে ঢুকে খালেদা-তারেক, জামায়াতের সাথে এক থালে ভাত খাবেন না, মাখামাখি করবেন না, এটি অসম্ভব ব্যাপার। সেই জন্যই তিনি জ্ঞানপাপী। তিনি সব জেনেশোনেই বিএনপির খোঁয়াড়ে ঢুকেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের সুরক্ষা করতে এবং ডিজিটাল সমাজকে নিরাপদ রাখাসহ নারী-শিশু-রাষ্ট্র ও ব্যক্তিগত জীবনকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই ডিজিটাল আইন করা হয়েছে। সুতরাং সাংবাদিকদের জন্য যতগুলো আইন-অধিকার আছে, সেই অধিকার ভোগ করেন এবং আপনারা নির্ভয়ে লিখেন। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সাদিক হোসেন, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, রতন সরকারসহ দলীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ফুলবাড়িয়া উপজেলার আছিম বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জাসদ আয়োজিত একটি জনসভায় যোগদান করেন। সেখানে তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিনকে অথর্ব ও দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করে বলেন, সরকারে থেকেও এলাকার উন্নয়ন করতে পারেননি তিনি। তাই তাকে এবার বয়কট করুন। তিনি জেলা জাসদের ত্যাগী ও যোগ্য নেতা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টুকে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে নির্বাচিত করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানান। জনসভায় খালেদা-তারেক ও বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। 

উপজেলা জাসদ সভাপতি আবদুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মাস্টারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তারা আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা জাসদ নেতা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টুকে ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান।


আরো সংবাদ



premium cement