২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জলবায়ু সম্মেলনস্থলের বাইরে পরিবেশবাদীদের প্রতিবাদ বৈশ্বিক উষ্ণতা রুখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ বিশ্বনেতারা

-

জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রুখতে বিশ্বনেতারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সম্মেলনস্থলের বাইরে ঘোড়ার মল স্তূপ করে রেখে ও প্রতীকী ফাঁসির আয়োজন করে প্রতিবাদ দেখিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মীরা।
কপ-২৫ সম্মেলনের শেষের দিকে গত শনিবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সম্মেলনস্থলের বাইরে এক্সটিঙ্কশন রেবেলিয়নের নামের পরিবেশবাদী গোষ্ঠীর নেতৃত্বে এ প্রতিবাদী কর্মসূচি হয়। ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি কী উপায়ে বাস্তবায়িত হবে, জাতিসঙ্ঘের এ সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলো এবারো তা নিয়ে একমত হতে পারেনি। এক বিবৃতিতে এক্সটিঙ্কশন রেবেলিয়ন বলেছে, ‘বিশ্ব এখন যে ধরনের জরুরি অবস্থার মুখোমুখি তার তুলনায় এবারের কপ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ ও আর্টিক্যাল ছয় নিয়ে যা হয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়।’
শনিবার সম্মেলনস্থলের বাইরে পরিবেশবাদী এ সংগঠনটির ১২ সদস্য গলতে থাকা বরফের চাঁইয়ের ওপর দাঁড়িয়ে গলার চার দিকে ফাঁসির দড়ি লাগিয়ে রেখে প্রতিবাদ জানান। প্রতীকী এ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা মূলত পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলনের আগে আর ১২ মাস সময় আছে বলে জানান। প্যারিস জলবায়ু চুক্তিটি আগামী সম্মেলনেই এমন পর্যায়ে প্রবেশ করবে, যা চুক্তিটি কার্যকর করা যাবে কি যাবে না, তা নির্ধারণ করবে।
প্রতীকী ফাঁসির পাশে একগাদা ঘোড়ার মল রেখে সম্মেলনে অংশ নেয়া পরিবেশবাদী সংগঠনটি বিশ্বনেতাদের প্রতি ‘তারা যা করছেন, সে ধরনের ছাইপাঁশ এখনই বন্ধ হোক’ শীর্ষক ছোট একটি বার্তাও ছুড়ে দিয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহে কয়েক শ’ পরিবেশবাদী মাদ্রিদের কেন্দ্রস্থলের অন্যতম একটি শপিং স্ট্রিট আটকে বিশাল ডিস্কো-নাচে অংশ নিয়ে জলবায়ু সম্মেলনে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। সে তুলনায় শনিবারের প্রতিবাদের ধরন ছিল অনেকটাই নরম। বরফের চাঁইয়ের ওপর থেকে প্রতিবাদে অংশ নেয়া এমা ডিয়েন বলেছেন, ‘এখন যদি তারা (বিশ্বনেতারা) একটি চুক্তিতে পৌঁছানও, তাও যথেষ্ট হবে না। এ নিয়ে ২৫ বার তারা কপ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন, কিন্তু এখনো কিছুই বদলায়নি।’ কোলে রাখা নিজের ছোট মেয়েকে দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘ও এমন একটা পৃথিবীতে বেড়ে উঠবে, যেখানে তাকগুলোতে কোনো খাদ্য থাকবে না; এটাই আমার হৃদয় ভেঙে দিচ্ছে।’
এক্সটিঙ্কশন রেবেলিয়নের মুখপাত্র রোনান ম্যাকনার্ন জলবায়ু সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতাদের কার্যক্রমে ব্যঙ্গ করার গুরুত্বের ওপরও জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিষ্ঠার ভেতর থেকেই সেরা গোলাপটি বেরিয়ে আসে। আমাদের আশা, সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একত্রিত হবে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement