অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরাইল। যার অংশ হিসেবে গত কয়েকদিনে নারী ও শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ ফিলিস্তিনি। তা ছাড়া, গুরুতর আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৬৯ বেসামরিক নাগরিক।
মিসরের মধ্যস্থতায় উপত্যকাটিতে অস্ত্রবিরতি কার্যকর হলেও দু’দিন পর আবারো বিধ্বংসী হামলা শুরু করেছে ইসরাইলের সেনারা। ইসরাইলের দাবি, অস্ত্রবিরতি চলাকালে সশস্ত্র সংগঠন হামাসের পক্ষ থেকে বেশ কয়েক দফায় রকেট হামলা চালানো হয়। মূলত এর জবাব স্বরূপ বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, গতকাল শনিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বিমান হামলা অঞ্চলটির ইসলামিক জিহাদ গ্রুপের অবস্থানকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে চালানো হয়নি। এগুলো মূলত হামাস প্রশাসনের সাইটগুলোকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। যদিও হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে হামাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের মন্তব্য কিংবা পাল্টা হামলা চালানো হয়নি।
ইসরাইলের গণমাধ্যমগুলো জানায়, গাজা সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করছে ইসরাইল। এই সেনা বহরে রয়েছে- আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ইউনিটস, সামরিক গোয়েন্দা এবং হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সদস্যরা। বিশ্লেষকদের মতে, ইসরাইলের হোম ফ্রন্ট কমান্ডের সেনাদের সাধারণত দেশের গুরুতর সঙ্কট ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মোতায়েন করা হয়। কর্তৃপক্ষের বরাতে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, গত ১২ নভেম্বর অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বোমা হামলা চালিয়ে বাহা আবু আল-আত্তা নামে ইসলামিক জিহাদের এক সিনিয়র কমান্ডারকে হত্যা করা হয়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা