২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আফগান শান্তি চুক্তি হোয়াইট হাউজে তালেবানের সাথে আলোচনায় অগ্রগতির আভাস

-

হোয়াইট হাউজ গত শুক্রবার আফগানিস্তানের তালেবানের সাথে শান্তি চুক্তির প্রস্তুতিতে অগ্রগতির ইঙ্গিত দিয়ে বলেছে যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শীর্ষ উপদেষ্টাদের মধ্যকার আলোচনা ‘খুব ভালো’ হয়েছে।
হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ট্রাম্প তার বেডমিনস্টারে নিউ জার্সি গল্ফ কোর্সে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এস্পার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং জয়েন্ট চিফ অব স্টাফদের চেয়ারম্যান জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ডসহ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সাথে বৈঠক করেছেন। এ ছাড়াও জাতীয় নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত জন বল্টন এবং তালেবানের সাথে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ উপস্থিত ছিলেন।
এক বিবৃতিতে উপপ্রেস সচিব হোগান গিডলি বলেছেন, ‘তালেবান ও আফগানিস্তান সরকারের সাথে আমাদের আলোচনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বিষয়বস্তু ছিল শান্তি ও সমঝোতা চুক্তিকে কেন্দ্র করেই। বৈঠকটি খুব ভালোভাবে হয়েছে এবং আলোচনা এখনো এগিয়ে চলছে।
ট্রাম্প টুইটারে যোগ করেছেন: ‘এইমাত্র আফগানিস্তান নিয়ে খুব ভালো একটি বৈঠক শেষ করলাম। এই ১৯ বছরের যুদ্ধে শত্রুপক্ষের অনেকে এবং আমরা সম্ভব হলে একটি চুক্তি করতে চাইছি।’
দুই দশকের যুদ্ধের পর দেশটিতে অচলাবস্থার নিরসনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে ১৪ হাজার সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে বলে এমন চুক্তির জন্য প্রত্যাশা বাড়ছে। ওয়াশিংটন আফগানিস্তানের যুদ্ধে তার সম্পৃক্ততা শেষ করতে আগ্রহী, যেখানে দেশটি এক ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরুর পর থেকেই বলেছিলেন যে তিনি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে চান।
এর বিনিময়ে তালেবান বিভিন্ন নিরাপত্তা নিশ্চয়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবে, যার মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে দেশটিতে আশ্রয় নেয়া আল কায়দার সদস্যদের আফগানিস্তানকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হতে দেবে না।
মার্কিন-তালেবানের একটি চুক্তিতেই আফগানিস্তান যুদ্ধের অবসান ঘটাবে না, কারণ মার্কিন সমর্থিত কাবুল সরকারের সাথে বিদ্রোহীদের এখনো চুক্তি করা দরকার। পম্পেও এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান সরকারের সাথে নিবিড় সহযোগিতা অব্যাহত রেখে আমরা একটি বিস্তৃত শান্তি চুক্তি সম্পাদনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে- সহিংসতা হ্রাস ও যুদ্ধবিরতি, এটি নিশ্চিত করা যে আফগান মাটি আর কখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা তার সহযোগীদের হুমকির জন্য ব্যবহার করা হবে না এবং আফগানদের একত্র করে শান্তির পথে কাজ করবে’।
এমনকি মার্কিন ও তালেবান আলোচনায় অগ্রগতির দাবি করার পরও দেশটিতে আফগানদের অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। গত বছর জাতিসঙ্ঘের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে আফগানিস্তানে যুদ্ধের ফলে ৯২৭ শিশুসহ কমপক্ষে ৩৮০৪ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু ঘটেছে। জাতিসঙ্ঘের মানবিক বিষয়গুলোর সমন্বয়কারী অফিসের (ওসিএইচএ) মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশজুড়ে মানবিক সহায়তার ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ২০১৯ সালের প্রথম সাত মাসেই যুদ্ধের কারণে দুই লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি লোককে বাড়ি ছেড়ে পালাতে হয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement