২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মুলারের রিপোর্টে ট্রাম্পের অপরাধের প্রমাণ মিলেছে : জ্যারল্ড ন্যাডলার

-

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত রবার্ট মুলারের তদন্ত রিপোর্টে ট্রাম্পের অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান জ্যারল্ড ন্যাডলার। রোববার ফক্স টেলিভিশনের ‘ফক্স নিউজ সানডে’ অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
জ্যারল্ড ন্যাডলার বলেন, তার বিশ্বাস ট্রাম্পের বড় ধরনের অপরাধ সংঘটন ও অসদাচরণের ‘যথেষ্ট প্রমাণ’ রয়েছে। ফলে আগামীকাল বুধবার কংগ্রেসের শুনানিতে বিষয়গুলো উপস্থাপনের জন্য স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারকে আহ্বান জানানোর পরিকল্পনা করেছে। তিনি যেন আমেরিকার জনগণের সামনে এগুলো তুলে ধরেন। এতে করে জনগণ দেখার সুযোগ পাবে যে, আমরা কোন দিকে যাচ্ছি। প্রতিনিধি পরিষদের বিচার বিভাগীয় কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, প্রশাসনকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কোনো প্রেসিডেন্টই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেক দিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল। এক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বড় ভূমিকা রেখেছিল দেশটি। এমনটাই আশঙ্কা করছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই। সংস্থাটির পরিচালকের পদ থেকে জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। ২০১৭ সালের মে মাসে এ সংক্রান্ত তদন্তের দায়িত্ব পান সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলার। মার্চে দেশটির আইনমন্ত্রীর কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন তিনি। গত ১৮ এপ্রিল প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার তদন্ত রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে রয়েছে নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত আলোচনা। আর দ্বিতীয়ভাগে রয়েছে তদন্ত ও বিচার বাধাগ্রস্ত করতে ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের প্রচেষ্টা।
রবার্ট মুলারের তদন্ত রিপোর্টে মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের প্রমাণ মিললেও ট্রাম্প ও তার প্রচারণা শিবিরের সাথে ক্রেমলিনের কোনো ‘অপরাধমূলক’ কর্মকাণ্ডের প্রমাণ মেলেনি। ২৩ মাসের তদন্ত শেষে এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জনসম্মুখে আনা হয়। মুলারের অনুসন্ধান অনুযায়ী, মার্কিন নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করতে রাশিয়া তৎপর ছিল। তবে তাদের নির্বাচনী হস্তক্ষেপের আকাক্সক্ষার সাথে ট্রাম্প শিবিরের ষড়যন্ত্র বা সমন্বয়মূলক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুলারের দাবি, তার তদন্তে ট্রাম্পের কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা বা অস্বীকৃতিই এর মূল কারণ। মুলার তার রিপোর্টের উপসংহারে বলেছেন, ট্রাম্পকে অপরাধী প্রমাণের মতো তথ্য তার কাছে নেই। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নিরাপরাধ বলে দায়মুক্তিও দেননি তিনি। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প অপরাধ করেছেন কি না তা বলা কঠিন। কংগ্রেস চাইলে এ নিয়ে নতুন করে তদন্ত করতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement