২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

তাবরেজের বাবাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ঝাড়খণ্ডে

-

ভারতের ঝাড়খন্ডে ১৭ জুন পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে মুসলিম যুবক তাবরেজ আনসারিকে। ঠিক এর ১৫ বছর আগে তার বাবা মাসকুর আনসারিকেও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। জামশেদপুরের বাগবেড়া এলাকায় চুরির অভিযোগে তাকে ধরে প্রচণ্ড প্রহার করেছিল লোকজন। তাবরেজ আনসারিকে হত্যার পর এখন এত দিন পরে সেই কথা সামনে তুলে এনেছেন স্থানীয়রা। ফলে ওই ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ এখন। এ ঘটনায় বাগবেড়া পুলিশ স্টেশনে একটি মামলা হয়েছে।
জামশেদপুরে কংগ্রেস দলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোশাহিদ খান বলেছেন, মাসকুর আনসারির লাশ শনাক্ত করার পর তা তার গ্রামের বাড়ি আনতে তিনি জামশেদপুরে গিয়েছিলেন।
স্থানীয় দু’জন প্রত্যক্ষদর্শী ওই ঘটনার সাক্ষী। তবে তদন্ত সংস্থাগুলো তাদেরকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করতে পারে এ আশঙ্কায় তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে চান না। তবে তারা বলেছেন, দাঙ্গাবাজরা হত্যা করেছিল মাসকুরকে। তাকেও উত্তেজিত জনতা আটক করেছিল। এরপর প্রহার করা হয়েছিল। কেটে দেয়া হয়েছিল গলা। একজন বয়স্ক নারী বলেন, যখন তার লাশ গ্রামে আনা হয়েছিল তখন আমরা তা দেখেছি।
বাগবেড়া এলাকার অনেক মানুষ ২০০৪ সালের নভেম্বরে সংঘটিত সেই পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহতা স্মরণ করেন এখনও। স্থানীয় নেতা ও সমাজসেবক সুবোধ কুমার ঝা বলেন, একদিন রামনগরের লোকজন মাসকুরকে আটক করে এবং তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। উল্লেখ্য, প্রায় এক সপ্তাহ আগে মাসকুরের ছেলে তাবরেজকে একটি মোটরসাইকেল চুরির দায়ে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। এরপর জনতা তাকে বেদম মারধর করে। সারা রাত একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে রাখে। তারপর তুলে দেয় পুলিশের হাতে। পুলিশ দুই দিন পরে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। পরে তিনি মারা যান। তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, তিনি মুসলিম হওয়ায় তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। নির্যাতনের সময় তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় হনুমান’ স্লোগান দিতে বাধ্য করা হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement