চীনে ‘যৌন দাসত্ব’র শিকার হাজার হাজার উ. কোরীয় নারী
- বিবিসি ও সিএনএন
- ২২ মে ২০১৯, ০০:০০
পাচার কিংবা অপহরণের শিকার হয়ে চীনে যাওয়া হাজার হাজার উত্তর কোরীয় নারী ও কন্যাশিশু ‘যৌন দাসত্ব’র শিকার হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা কোরিয়া ফিউচার ইনিশিয়েটিভ উত্তর কোরিয়ার নারীদের ওপর এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, কখনো কখনো তাদের পতিতা হিসেবে বিক্রি করা হয়, কখনো বা আবার চীনা পুরুষদের বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। সংস্থাটির মতে, বিভিন্ন অপরাধ সংস্থার মাধ্যমে প্রতি বছর এই উত্তর কোরীয় নারীদের নিয়ে ১০ কোটি ডলারের যৌন বাণিজ্য হয়ে থাকে।
উত্তর কোরিয়ার অর্থনৈতিক বিপণœতা ও সেখানকার কট্টর শাসনের কারণে চরম দারিদ্র্য ও অবদমনের মধ্যে বাস করতে হয় সেখানকার নারীদের। পাচারকারীরা সেই কারণেই তাদের অপহরণের সুযোগ পায়। সেক্স স্লেভস : দ্য প্রস্টিটিউশন, সাইবার সেক্স অ্যান্ড ফোর্সড ম্যারেজ অব নর্থ কোরিয়ান উইমেন অ্যান্ড গার্লস ইন চায়না শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির রচয়িতা ইউন হি-সুন বলেন, এসব ভুক্তভোগী নারীর মাত্র ৩০ চীনা ইউয়ান অর্থাৎ চার ডলারের বিনিময়ে পতিতা হিসেবে বিক্রি করা হয়। স্ত্রী হিসেবে বিক্রি করা হয় মাত্র ১ হাজার ইউয়ান বা ১৪০ ডলারের বিনিময়ে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী অনলাইন দর্শকশ্রোতাদের ‘মনোরঞ্জনে’ সাইবার সেক্সের অন্ধকার জগতে পাচার করা হয়।
প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, পাচারের শিকার এই মেয়ে ও নারীদের বয়স হয়ে থাকে সাধারণত ১২ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। অনেক সময় এর চেয়ে কম বয়সীরাও পাচারের শিকার হয়। এদের অনেকেই একাধিকবার বিক্রি হয়েছে এবং নিজ দেশ ছাড়ার এক বছরের মধ্যে কমপক্ষে একবারের জন্য হলেও যৌন দাসত্বে বাধ্য হয়েছে। অভিবাসী অধ্যুষিত উত্তর-পূর্ব চীনের অনেক জেলার বহু পতিতাপল্লীতে এমন অনেক নারীকে বন্দী অবস্থায় পতিতা বা দাসীর মতো জীবন কাটাতে হচ্ছে।