২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নির্বাচন পেছানো নিয়ে থাইল্যান্ডে উত্তেজনা

থাইল্যাণ্ডের জান্তা সরকারের প্রধান জেনারেল প্রায়ুথ চান-ও-চার পদত্যাগের দাবিতে তার ছবি নিয়ে রাজধানী ব্যাংককে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ :এএফপি -

থাইল্যান্ডে দীর্ঘবিলম্বিত নির্বাচন আবারো পেছানোর ঘটনায় উত্তেজনা চলছে। সামরিক জান্তা ইঙ্গিত দিয়েছে যে দীর্ঘ সময় ধরে স্থগিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আরো বিলম্ব হবে। পাঁচ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে পঞ্চম বারের মতো নির্বাচন পেছান হয়েছে দেশটিতে। এর প্রতিবাদে গতকাল রাজধানী ব্যাংককে চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য শহরগুলোতেও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে গণতন্ত্রকামী জনগণ। ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করায় সামরিক সরকারের নিন্দা জানাতে এক সপ্তাহের মধ্যে তৃতীয় বারের মতো শত শত লোক রাস্তায় নেমে আসে।
২০১৪ সালে রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা গ্রহণকারী সামরিক জান্তা পঞ্চম বারের মতো নির্বাচন পিছিয়েছে। এতে দেশটির গণতন্ত্রের পথে ফেরা বিলম্বিত হচ্ছে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর পিস অ্যান্ড অর্ডার (এনসিপিও) বারবার ঘোষণা করেছে যে নির্বাচনের জন্য দেশ ‘প্রস্তুত নয়’। তবে সর্বশেষ বিলম্বের সাথে নতুন রাজার অভিষেকের বিষয় সংশ্লিষ্ট থাকায় দেশে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
থাইল্যান্ডের অনেকেই ঘোষিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তবে গত বছরের শেষদিকে নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফেব্রুয়ারির তারিখটিকেই প্রায় নিশ্চিত বলে মনে হয়েছিল। গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং পাঁচজনেরও বেশি লোকের সমাবেশ নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হয়েছিল, একে নির্বাচনের অগ্রগতির সবচেয়ে শক্তিশালী ইঙ্গিত ছিল।
৮ বছর আগে ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের শেষ সাধারণ নির্বাচন হয়েছিল। ২০১৪ সালে আবারো আরেকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তবে পরবর্তীতে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে তা বাতিল করা হয়েছিল এবং সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। থাইল্যান্ডের নতুন সংবিধান অনুযায়ী, ৯ মের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement