২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

  সিআইএর রিপোর্ট অপরিপক্ব : ট্রাম্প

-

সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানই দিয়েছিলেন বলে সিআইএ যে ধারণার কথা জানিয়েছে, তাকে অপরিপক্ক অ্যাখ্যা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনার বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আজ বা কাল মঙ্গলবার তার কাছে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে রিপোর্টে তা উল্লেখ থাকবে বলে তিনি জানিয়েছেন। শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবুতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নির্দেশেই সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মন্তব্য করে। শনিবার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প অবশ্য সৌদি যুবরাজের নাম উচ্চারণ করেননি। তবে তিনি বলেছেন, ‘আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাব, সেটা হয়তো সোমবার বা মঙ্গলবার হতে পারে।’
দাবানলের ক্ষয়ক্ষতি দেখতে শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় ট্রাম্প খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ‘কখনোই হওয়া উচিত ছিল না’ বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, খাশোগি হত্যায় কারা দায়ী এবং এ ঘটনার সামগ্রিক প্রভাব কী, মঙ্গলবারের রিপোর্টেই মার্কিন সরকার তা জানতে পারবে। তবে কারা ওই রিপোর্ট জমা দিচ্ছে, তা নিশ্চিত জানা যায়নি।
রাজপরিবারের বেশকিছু নীতির সমালোচক খাশোগিকে হত্যার নির্দেশ সৌদি ‘ক্রাউন প্রিন্সই দিয়েছিলেন’, সিআইএর এ মূল্যায়নকে ‘সম্ভব’ বলেও অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা আগে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার এখনো ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাশোগি হত্যায় দায়ীদের চিহ্নিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নোয়র্টি এক বিবৃতিতে বলেন ‘সম্প্রতি প্রকাশিত যেসব রিপোর্টে মার্কিন সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত উপসংহারে পৌঁছেছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে, তা সঠিক নয়। খাশোগির হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো অসংখ্য অমীমাংসিত প্রশ্ন রয়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রেখেই’ সাংবাদিক হত্যার পেছনে কারা, তা খুঁজে বের করতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য দেশের সাথে কাজ করছে।
সিআইএর মূল্যায়ন নিয়ে ট্রাম্প কেন্দ্রীয় এ তদন্ত সংস্থাটির পরিচালক জিনা হাসপেল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সাথে কথা বলেছেন বলেও হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সিআইএ তাদের এ মূল্যায়নের বিষয়টি কংগ্রেসসহ মার্কিন সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদেরও অবহিত করেছে বলে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এ পদক্ষেপ সৌদি আরবের মতো গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মিত্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক অক্ষুণœ রাখতে ট্রাম্পের চেষ্টাকে বিপত্তির মুখে ফেলবে বলেই ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
সৌদি আরবের বর্তমান শাসনব্যবস্থায় যুবরাজের মোহাম্মদের একচ্ছত্র আধিপত্যকে ‘পরোক্ষ প্রমাণ’ ধরে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা খাশোগি হত্যাকাণ্ড বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন টেনেছে বলে এ কাজের সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র রয়টার্সকে বলেছে।


আরো সংবাদ



premium cement