২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গঠনের পক্ষে ফ্রান্সের সাথে জার্মানি

-

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল ‘সত্যিকারের ও প্রকৃত’ ইউরোপীয় সেনাবাহিনী প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। একই সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মৌলিক সংস্কার করার দিকেও গুরুত্ব দেন তিনি। অ্যাঞ্জেলার এ আহ্বানকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিধ্বনি হিসেবে দেখা হচ্ছে। অবশ্য ম্যাক্রোঁর বক্তব্যকে ‘খুবই অপমানজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় স্ট্রসবার্গ শহরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে দেয়া বক্তৃতায় ভবিষ্যৎ ইউরোপ সম্পর্কিত নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন অ্যাঞ্জেলা। এ সময় তিনি ইউরোপের জন্য একটি নিরাপত্তা পরিষদ গঠনের দাবি জানান, যা শুধুই ইউরোপ মহাদেশের প্রতিরা ও নিরাপত্তারবিষয়ক নীতি নিয়ে কাজ করবে।
জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, আমরা সামরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত নানা রকমের অবকাঠামো গড়ে তুলেছি। এগুলো বেশ ভালো এবং প্রায় সবাই সমর্থন করছে। কিন্তু আমাদের এখন ‘সত্যিকারের ও প্রকৃত’ ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলা উচিত। এ ধরনের সামরিক বাহিনী ন্যাটো জোটের গুরুত্বকে খাটো করবে না বরং এ জোটের একটি পরিপূরক বাহিনী হবে। তিনি বলেন, ইউরোপের ভাগ্যকে অবশ্যই আমাদের নিজেদের হাতে নিতে হবে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় সেনাবাহিনী ন্যাটো জোটের প্রতিদ্বন্দ্বী হবে না, বরং ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আগামীত যেন আর কোনো জাতিগত যুদ্ধ না হয়, সেই বিষয়ে ও বিশ্বশান্তি প্রক্রিয়াই ভূমিকা রাখবে। ইউরোপের যেসব দেশে জাতীয়তাবাদী কট্টরপন্থীদের উত্থান বাড়ছে, সংস্কারের মাধ্যমে তা ঠেকানোর কথাও জানান তিনি। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে আরো সংহতি, সৌহার্দ্য ও মানবিক হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান জার্মানির চ্যান্সেলর।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রেঁাঁ গত শনিবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শত বছর পূর্ণ উপলে স্মরণসভার এক দিন আগেই পুনরায় ইউরোপীয় ঐক্য সংহতি শান্তির পাশাপাশি ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। ইতোমধ্যে জার্মানি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে দীর্ঘ সময় নিলেও তারা এখন একক ইউরোপীয় সেনাবাহিনী গড়ে তোলার বিষয়ে ঐকমত্য প্রকাশ করছে। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেলের ভাষণের প্রশংসা করে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জাঁ-কদ জাঙ্কার বলেন, তিনি (অ্যাঞ্জেলা) তার দেশের সীমান্ত খুলে দিয়ে যেভাবে অভিবাসীদের গ্রহণ করার বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, ইতিহাস তা স্মরণ করবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে নির্বাচিত ইইউ পার্লামেন্টের মেয়াদ শিগগিরই শেষ হবে। পাঁচ বছর মেয়াদি ইইউ পার্লামেন্টের আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০১৯ সালের ২৬ মে।


আরো সংবাদ



premium cement