২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

কোরীয় উপদ্বীপকে শান্তির ভূমি বানাতে সম্মত কিম-মুন

-

কোরীয় উপদ্বীপকে ‘পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত ও পারমাণবিক হুমকিবিহীন শান্তির ভূূমিতে’ পরিণত করতে একমত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও দণি কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা ইন। গতকাল বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন দুই কোরিয়ার এ দুই নেতা।
এ ল্য সাধনে দ্রুত পদপে নেয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পিয়ংইয়ং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা ফের শুরু করার উদ্দেশ্য নিয়ে চলতি বছরে তৃতীয় শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হয়েছেন দুই কোরিয়ার এ দুই নেতা।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম বিদেশী বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে তাদের প্রধান পেণাস্ত্র স্থাপনাগুলো ‘স্থায়ীভাবে’ বিলুপ্ত করার বিষয়ে রাজি হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ‘অনুকূল পদপে’ নিলে তারা তাদের মূল পারমাণবিক কমপ্লেক্স বন্ধ করে দিতেও রাজি আছেন বলে জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প থেকে পরিপূরক কোনো পদপে নেয়া হলে ইয়ংবিয়ানে তাদের মূল পারমাণবিক স্থাপনা স্থায়ীভাবে ভেঙে ফেলতেও রাজি আছে উত্তর কোরিয়া। প্রেসিডেন্ট মুন এ কথা বলেছেন।
কিম ও মুন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বার করেছেন। কিম চুক্তিটিকে কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি আরো জানান যে, তিনি অদূর ভবিষ্যতেই দণি কোরিয়া সফর করতে পারেন। চলতি বছরের শেষ দিকে সিউলে কিমের সফরটি হতে পারে বলে প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন মুন। এমনটা হলে তিনিই হবেন দণি কোরিয়া সফরকারী প্রথম উত্তর কোরীয় নেতা। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ ছাড়াও দুই কোরীয়ার মধ্যে রেলওয়ে সংযোগ স্থাপনের পরিকল্পনাও করছেন দুই নেতা। এতে করে কোরীয় যুদ্ধে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা একে অন্যের সাথে সহজেই দেখা করতে পারবেন। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সহযোগিতাও বৃদ্ধি পাবে।
মুনের সাথে আগের দুই বৈঠকে ও জুনে সিঙ্গাপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে বৈঠকেও ‘কোরীয় উপদ্বীপের সম্পূর্ণ পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের’ ল্েয কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিম। এক টুইটে কিমের এসব প্রতিশ্রুতিকে ‘দারুণ উদ্দীপক’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।

 


আরো সংবাদ



premium cement