২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ফের শীর্ষ বৈঠকে বসতে ট্রাম্পকে কিমের ‘উষ্ণ’ আমন্ত্রণ

-

নতুন আরেকটি শীর্ষ বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি লিখেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দুই নেতার বৈঠকের দিনক্ষণ ঠিক করতে এরই মধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।
চলতি বছরের জুনে সিঙ্গাপুরে বৈরী এ দেশ দু’টির দুই শীর্ষ নেতা প্রথমবারের মতো এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন; তারই ধারাবাহিকতায় নতুন শীর্ষ বৈঠকের অনুরোধ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ‘হৃদ্যতাপূর্ণ’ এই চিঠি ‘পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতিশ্রুতির ধারাবাহিকতার’ প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স।
সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর থেকেই কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের আলোচনা ধীরে ধীরে থিতিয়ে আসছিল। তার মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার এ আমন্ত্রণ নিরাস্ত্রীকরণের বিষয়ে আশা ধরে রাখল। স্যান্ডার্স বলেছেন, ‘চিঠির প্রাথমিক উদ্দেশ্যই হচ্ছে প্রেসিডেন্টের (ট্রাম্প) সাথে আরেকটি বৈঠকের অনুরোধ ও এর দিনক্ষণ ঠিক করা। এরই মধ্যে আমরা কাজ শুরু করেছি, এ নিয়ে সমন্বয়ও চলছে।’
দুই নেতার সম্ভাব্য বৈঠকটি কবে অনুষ্ঠিত হবে সে সম্পর্কে কোনো ধারণা দেননি হোয়াইট হাউজের এ মুখপাত্র। ট্রাম্পকে কিমের চিঠি লেখার খবরে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জা-ইনও। তিনি বলেছেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ এমন একটি বিষয়, যার মৌলিক সমাধান যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই হওয়া উচিত।’ সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প-কিমের শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনেও মুনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। কিমের সাথে কয়েক মাসের মধ্যে তৃতীয় দফা মুখোমুখি বৈঠকে অংশ নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আগামী সপ্তাহেই পিয়ংইয়ং যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে আলোচনায় নিজেকে মধ্যস্থতাকারী বিবেচনা করা মুন পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের লক্ষ্য অর্জনে দুই পক্ষকেই সাহসী পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বল এখন যুক্তরাষ্ট্রের কোর্টে’
এ দিকে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন বলেছেন, কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার জন্য তিনি আর এককভাবে কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। এর পরিবর্তে তিনি এরই মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের পক্ষ থেকে নেয়া পদক্ষেপগুলোর বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র কী করে সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করবেন।


আরো সংবাদ



premium cement