২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ইতালিতে সেতু ধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯

জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি
ইতালির জেনোয়া শহরে ধসে পড়া সেতু : এএফপি -

ইতালির উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর শহর জেনোয়ায় সেতু ধসে পড়ার পর ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ধ্বংসস্তূপের নিচে জীবিত কেউ আটকা পড়ে আছেন কি না বা আরো কোনো লাশ আছে কি না, সারা রাত ধরে দমকলকর্মীরা তা খুঁজে দেখার পর বুধবার সকালে নিহতের এ সংখ্যাটি জানিয়েছে পুলিশ।
জেনোয়া পুলিশের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘সরকারিভাবে নিহতের সর্বশেষ সংখ্যা হলো ৩৮, তবে এ সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা বাতিল করা যাচ্ছে না’। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকের এ ঘটনায় প্রথমে ১২ ও পরে অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছে বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল। সংখ্যাটি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে তখনই জানিয়েছিলেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপে কন্তে। ওই ঘটনায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে একটি টাওয়ারসহ সেতুটির ৫০ মিটার উঁচু একটি অংশ ধসে পড়ে। ওই সময় সেতুর এই অংশটিতে প্রায় ৩৫টি গাড়ি ছিল। বিশাল বিশাল কংক্রিটের স্লাব দু’টি গুদাম, ট্রেন লাইন ও একটি নদী খাতের ওপর ধসে পড়েছে। এক টুইটে লিগুরিয়া অঞ্চলের সরকার জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ১৯টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং গুরুতর আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে নয়জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। সেতুটির যে অংশটুকু এখনো দাঁড়িয়ে আছে তার নিচ ও আশপাশের ভবনগুলো থেকে চার শতাধিক লোককে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইতালির বেসামরিক প্রতিরা সংস্থা জানিয়েছে, সেতু ভেঙে পড়ে নিচে অবস্থানরত কেউ নিহত হননি বলে ধারণা করা হচ্ছে, শুধু ওপরে গাড়িতে যারা ছিলেন তারাই হতাহত হয়েছেন। দমকলকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে গলার আওয়াজ পেয়ে সাতজন জীবিতকে উদ্ধার করেছে বলে ইতালির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরএআই-কে জানিয়েছেন দমকল কর্মকর্তা ব্রুনো ফ্রাত্তাসি।
পুলিশ কর্মকর্তা আলেসান্দ্রা বুচি বলেছেন, ‘আরো লোককে জীবিত পাওয়া যাবে বলে আশা করছি আমরা’। উপর থেকে নেয়া ফুটেজে দেখা গেছে, মোরান্দি নামের সেতুটির ধসে পড়া ৮০ মিটার লম্বা অংশটির দুই পাশে ট্রাক ও গাড়ি আটকা পড়ে আছে। একপাশের ভাঙা অংশের কয়েক মিটার নিচে একটি ট্রাক ঝুলে আছে।
১৯৬০ দশকের শেষ দিকে এ১০ টোল সড়কের অংশ হিসেবে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয়রা সেতুটিকে নিজেদের ‘ব্রুকলিন ব্রিজ’ বলতেন। ইতালির বার্তা সংস্থা এএনএসএকে এক প্রত্যদর্শী বলেছেন, ‘ঠিক সাড়ে ১১টার পর আমি সেতুটির ওপর বজ্রপাত হতে দেখেছি। তারপরই দেখলাম সেতুটি ধসে পড়ছে’। ইতালির পরিবহনমন্ত্রী ড্যানিলো টনিনেল্লি এ দুর্ঘটনাকে ‘বড় ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন’। বেসামরিক প্রতিরা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেতুটির ধসে পড়া অংশটিতে ৩০টি গাড়ি ও পাঁচ থেকে ১০টি ট্রাক ছিল। প্রায় ৩০০ দমকলকর্মী সেতুটির ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিতদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছেন। উদ্ধার কাজে প্রশিতি কুকুর ব্যবহার করছেন তারা।

 


আরো সংবাদ



premium cement